ঘরের
মাটিতে অনুষ্ঠিত সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
যেখানে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে। তাসকিন ওই
সিরিজের আগেই মাঠের বাইরে চলে যান গোড়ালির চোটের জন্য। যে কারণে এই টাইগার
পেসার ইংল্যান্ডে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন। সবমিলিয়ে তিন জন ক্রীড়া
ফিজিশিয়ানকে দেখিয়েছেন তাসকিন।
সেখানে অবশ্য স্বস্তির খবর মিলেছিল
তাসকিনের। তাকে আপাতত ছুরি-কাচির নিচে যেতে হচ্ছে না। তবে ঠিক কবে নাগাদ
তাসকিন মাঠে ফিরবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক
দেবাশীষ চৌধুরী আজ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই
মুহূর্তে তাসকিনের জন্য রক্ষণশীল বা অস্ত্রোপচারহীন চিকিৎসাই সর্বোত্তম
পদ্ধতি। পুনর্বাসন প্রোগ্রামটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ধাপে ধাপে তার
ফিটনেস ফিরে আসে এবং টেন্ডনের সমস্যা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা
তার উন্নতির ব্যাপারে আশাবাদী।’
জুন-জুলাইতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে
পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ওই সিরিজ দিয়েই তাসকিন মাঠে
ফিরতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেবাশীষ, ‘তাসকিনের পুনর্বাসন সফলভাবে
সম্পন্ন হলে, জুনের শুরুতে তিনি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবেন বলে আশা করা যায়।’
অর্থাৎ, আরও এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে ডানহাতি এই অভিজ্ঞ পেসারকে।
চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফি থেকে ফেরার পর চলমান ডিপিএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন তাসকিন।
এরপর গোড়ালির চোটের কারণে বাংলাদেশের এই তারকা পেসার মাঠের বাইরে ছিটকে
যান। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেই অবশ্য তাকে নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ
জানিয়েছিলেন, বাঁ পায়ের গোড়ালির হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়েই তাকে চলতে
হবে, খেলতে হবে এটাকে ম্যানেজ করে। তাসকিনের ব্যথাটা আসলে যাওয়া-আসার মধ্যে
থাকবে, ওকে ম্যানেজ করে খেলতে হবে।