বিশেষ
প্রতিবেদক: কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বাগমারা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার
জের ধরে একজন মৎস্য চাষী সহ ৩ জন কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে
একজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহতরা হলেন- বাগরামা গ্রামের মৃত এ.কে.এম
ফজলুল হকের ছেলে মো. মাহবুব আলম লিটন (৫২), লিটন এর ছেলে আল আমিন (২৭) ও
মাহবুব রাকিবুল হাসান (২৫)। তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিপক্ষ বরকামতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম মেম্বার এসময় দলবল নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ঘর-বাড়িতে
ব্যাপক ভাঙচুর করে। গত মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলার
বাগমারা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওই ঘটনায় কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর ৪নং আমলী আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ)
একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. মাহবুব আলম লিটন। এতে
বরকামতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম
মেম্বার (৫৫), একই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে শিপন (২৩), আমির হোসেনের ছেলে
ফজলে রাব্বি (২৩), আবুল হোসেন এর ছেলে ফরহাদ (২৩, আঃ লতিফের ছেলে মেহেদী
(২৫) সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামী করা হয়।
মামলা
সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. মাহবুব আলম লিটন মৎস্য প্রকল্প
পরিচালনা ও পাইকারী-খুচরা মাছ ব্যবসা করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা
মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম।
আদালত তাকে সম্প্রতি খালাস দেওয়ায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে কয়েক জন
দুষ্কৃতকারী কুমিল্লা শহরের শাসনগাছায় জনতা ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় লিটনকে
হত্যার চেষ্টা করে। সেখান থেকে রক্ষা পেলেও মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকেলে
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা, ছেনি, লাঠি-সোটা সহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে
লিটনের বসত বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাঁধা দিলে তাদের ৩
পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া তার বসত ঘরের মূল্যবান
মালামাল লুট ও অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করে।
এব্যাপারে দেবিদ্বার থানার
অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে
আমরা নিশ্চিত হয়েছি মাহবুব আলম এর বাড়িতে হামলা হয়েছে পরে। এর আগে মাহবুব
প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে মারধর করেছে। তবে মাহবুব আলম এর পরিবারের লোকজন আহত
হয়েছে বেশি এবং তার ঘর-বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, উভয় পক্ষ
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।