বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
৩ পৌষ ১৪৩২
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশ: রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২:০৬ এএম |




সম্প্রতি "দৈনিক আজকের জীবন" সহ কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা , ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মুলত একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার শিক্ষকতা জীবনের মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ সব চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তাই আমি প্রকাশিত সংবাদটির ভিন্ন মত পোষণ করে সঠিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্য নিম্নে তুলে ধরলাম --
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত অডিট কমিটিকে অসহযোগিতার বিষয়টি সঠিক নয়। ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল পর্যন্ত সকল তথ্য দিয়ে আমি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করেছি । কমিটির প্রধান ২৭ ফেব্রুয়ারীর পর ১মাসের ট্রেনিং এ চলে যাওয়ার কারনে অডিট কার্য সমাপ্ত করে যেতে পারেন নি। এই বিষয়টিকে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করছে । বেইস, ডায়েরি , আইডি কার্ডের হিসাব ম্যানেজিং কমিটির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে । পাশাপাশি এগুলো গরীব , অসহায় ছাত্রীদের বিনামূল্যে /স্বল্প মূল্যে দেয়া হয়।তার পর কোম্পানির পাওনা মিটানোর পর অবশিষ্টাংশ বিভিন্ন খাতে খরচ করা হয় । যেমন কোন শিক্ষক/কর্মচারীর বিয়ে / মৃত্যু /অসুস্থতাসহ নানা কল্যানমুলক কাজে খরচ করাসহ অফিসিয়াল জরুরী কাজেও খরচ করা হয় । এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটি কিংবা কোন কর্মকর্তার আগমনে আপ্যায়ন বাবদ ও স্কুলের মামলা সংক্রান্ত কাজে খরচসহ ডিজিটাল মেশিন / ডিভাইস ক্রয় /মেসেজ ক্রয় বাবদ খরচ করার পর অবশিষ্টাংশ শিক্ষক/ কর্মচারীদের স্টাফ কাউন্সিলের হিসাবে  জমা দেয়া হয় । আর এই সকল কাজ ম্যানেজিং কমিটির জ্ঞাতসারেই করা হয়েছে । অপরদিকে কোচিং ফি বন্টনও সম্মানিত ম্যানেজিং কমিটির পরামর্শে ই করা হয়েছে । ২ জন অফিস সহকারী দিয়ে পরীক্ষার সময় বেতন , ফি  আদায় করা মোটেই সম্ভবপর নয় । এই কারনে পরীক্ষার সময় ছাত্রী /অভিভাবকদের কষ্ট লাঘব করার জন্য শিক্ষকদের সহযোগিতা নেয়া হয়। 
স্কুলের সকল প্রকার কেনাকাটা এবং উন্নয়ন মূলক কাজ ম্যানেজিং কমিটি নিজেরা ই করেছেন এবং অডিট কমিটির মাধ্যমে অডিট করিয়ে তা রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন ও দিয়েছেন । 
শিক্ষক /কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রতি মাসে স্ব স্ব একাউন্টে জমা হয় এবং ব্যাংক থেকে সাথে সাথে মোবাইলে মেসেজ আসে । প্রশংসা পত্র, ছাড়পত্র, প্রত্যয়নপত্র থেকে আয়ের সকল টাকা স্কুলের একাউন্টে নিয়মিত জমা করা হয়। বিগত ৫ আগস্টের আগে জনাব তাবারক উল্লাহ কায়েস সাহেবের স্বাক্ষরিত মামলা বাবদ ৫০ হাজার টাকার চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কোন টাকা উত্তোলন করা হয় নি। উনার মেয়াদের পর ই চেকটি বাতিল করে রেখে দেয়া হয়েছে । 
অথচ একটি মহল বিষয়টি না জেনে সন্দেহ বশত: আন্দাজের উপর ভর করে অহেতুক লাকসামের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে । এদের এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি । আমি এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।

রসরাজ দাস 
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, 
লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় , 
লাকসাম, কুমিল্লা ।












http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কটাক্ষ করলে সাধারণ মানুষই উপযুক্ত জবাব দেবে : টুকু
৯ কোটি ২০ লাখে কলকাতায় মুস্তাফিজ
এখনও সংকটাপন্ন হাদির অবস্থা, চিকিৎসকদের চোখ ‘টাইম উইন্ডোতে’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার
মনোহরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ফাইরোজ গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে
কুমিল্লার ১১টি আসনে মাঠে আছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
কুমিল্লায় বিএনপি-জামায়াতের ৫ প্রার্থীসহ ৭ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ফাইনাল সিলেকশনেই স্পষ্ট হবে প্রার্থী --হাজী ইয়াছিন
কুমিল্লা কারাগারের সামনে থেকে সুব্রত বাইনের মেয়ে আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২