বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশ: রোববার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২:০৬ এএম |




সম্প্রতি "দৈনিক আজকের জীবন" সহ কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উপস্থাপন করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা , ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মুলত একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার শিক্ষকতা জীবনের মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ সব চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তাই আমি প্রকাশিত সংবাদটির ভিন্ন মত পোষণ করে সঠিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্য নিম্নে তুলে ধরলাম --
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত অডিট কমিটিকে অসহযোগিতার বিষয়টি সঠিক নয়। ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল পর্যন্ত সকল তথ্য দিয়ে আমি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করেছি । কমিটির প্রধান ২৭ ফেব্রুয়ারীর পর ১মাসের ট্রেনিং এ চলে যাওয়ার কারনে অডিট কার্য সমাপ্ত করে যেতে পারেন নি। এই বিষয়টিকে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করছে । বেইস, ডায়েরি , আইডি কার্ডের হিসাব ম্যানেজিং কমিটির সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে করা হয়েছে । পাশাপাশি এগুলো গরীব , অসহায় ছাত্রীদের বিনামূল্যে /স্বল্প মূল্যে দেয়া হয়।তার পর কোম্পানির পাওনা মিটানোর পর অবশিষ্টাংশ বিভিন্ন খাতে খরচ করা হয় । যেমন কোন শিক্ষক/কর্মচারীর বিয়ে / মৃত্যু /অসুস্থতাসহ নানা কল্যানমুলক কাজে খরচ করাসহ অফিসিয়াল জরুরী কাজেও খরচ করা হয় । এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটি কিংবা কোন কর্মকর্তার আগমনে আপ্যায়ন বাবদ ও স্কুলের মামলা সংক্রান্ত কাজে খরচসহ ডিজিটাল মেশিন / ডিভাইস ক্রয় /মেসেজ ক্রয় বাবদ খরচ করার পর অবশিষ্টাংশ শিক্ষক/ কর্মচারীদের স্টাফ কাউন্সিলের হিসাবে  জমা দেয়া হয় । আর এই সকল কাজ ম্যানেজিং কমিটির জ্ঞাতসারেই করা হয়েছে । অপরদিকে কোচিং ফি বন্টনও সম্মানিত ম্যানেজিং কমিটির পরামর্শে ই করা হয়েছে । ২ জন অফিস সহকারী দিয়ে পরীক্ষার সময় বেতন , ফি  আদায় করা মোটেই সম্ভবপর নয় । এই কারনে পরীক্ষার সময় ছাত্রী /অভিভাবকদের কষ্ট লাঘব করার জন্য শিক্ষকদের সহযোগিতা নেয়া হয়। 
স্কুলের সকল প্রকার কেনাকাটা এবং উন্নয়ন মূলক কাজ ম্যানেজিং কমিটি নিজেরা ই করেছেন এবং অডিট কমিটির মাধ্যমে অডিট করিয়ে তা রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন ও দিয়েছেন । 
শিক্ষক /কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রতি মাসে স্ব স্ব একাউন্টে জমা হয় এবং ব্যাংক থেকে সাথে সাথে মোবাইলে মেসেজ আসে । প্রশংসা পত্র, ছাড়পত্র, প্রত্যয়নপত্র থেকে আয়ের সকল টাকা স্কুলের একাউন্টে নিয়মিত জমা করা হয়। বিগত ৫ আগস্টের আগে জনাব তাবারক উল্লাহ কায়েস সাহেবের স্বাক্ষরিত মামলা বাবদ ৫০ হাজার টাকার চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে কোন টাকা উত্তোলন করা হয় নি। উনার মেয়াদের পর ই চেকটি বাতিল করে রেখে দেয়া হয়েছে । 
অথচ একটি মহল বিষয়টি না জেনে সন্দেহ বশত: আন্দাজের উপর ভর করে অহেতুক লাকসামের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে । এদের এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি । আমি এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।

রসরাজ দাস 
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, 
লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় , 
লাকসাম, কুমিল্লা ।












সর্বশেষ সংবাদ
সাবেক এমপি কালামের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
জুনায়েদের নির্বাক চোখ মাকে খুঁজে বেড়ায়!
বুড়িচং সীমান্ত দিয়ে ভারতে মানব পাচারের সময় বিজিবির হাতে আটক ৫
চাউলের অবৈধ মজুদের অভিযোগে কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
১২ দিন পর মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চট্টগ্রাম থেকে বাস চুরি করে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো ঢাকায়
টিপুকে শীঘ্রই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দেখতে পাবো: আসিফ আকবর
কুমিল্লা জেলা ইয়োগা এসোসিয়েশনের প্রথমসাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
কুমিল্লায় তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
৮ আসামি কারাগারে, স্বীকারোক্তি দেননি বাচ্চু মেম্বার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২