কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলার পাঁচকিত্তা গ্রামে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণ ও
নির্যাতনের ১২ দিন পর ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৮ জুলাই
মঙ্গলবার কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে
জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন।
এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও তিনি
পরীক্ষা করতে অসম্মত হন।
এদিকে ওই ঘটনারঅশালীন সেই ভিডিও সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার পর্নোগ্রাফির মামলায় গ্রেপ্তার চার যুবককে
তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার ৮
জুলাই বিকেলে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১-এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে
আসামিদের হাজির করা হলে শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিদের সাত দিনের
রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড
শেষে তাদের আবার আদালতে হাজির করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সুমন
(২২), রমজান (২৩), মো. আরিফ (২৪) ও মো. অনিক (২২)।
উপপরিদর্শক রুহুল
আমিন বলেন, ‘আমরা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম, আদালত তিন দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন দিন রিমান্ডে রেখে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না। সময়মতো
বিস্তারিত জানানো হবে। আজ আদালতে চারজনের মধ্যে দুজনের জবানবন্দি দেওয়ার
কথা জানালেও পরে তারা তা দেননি। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান।
এদিকে
ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার এক মাত্র
আসামি ফজর আলী এখনো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে
পুলিশ। সে সুস্থ হলে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলেও জানিয়েছে
মুরাদনগর থানা পুলিশ।