চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার জৈষ্ঠ্যপুরা এলাকা থেকে একটি মিনিবাস চুরি করে ঢাকায় নেয়া সময় হাইওয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে এক চালক। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের একটি ফোন কলের সূত্র ধরে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকা থেকে বাসটিকে আটক করে কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটক বাস চোর শহিদুল ইসলাম বোয়ালখালী উপজেলার মত রশিদুল ইসলামের পুত্র।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ জাকির রাব্বানী জানান, মঙ্গলবার ভোরে বাসটি চুরি করে ঢাকায় নেবার যেন শহিদুল ধরা না পড়ে তাই পথে পথে যাত্রীও নিচ্ছিলেন। কিন্তু তার গাড়ী চালনার গতি দেখে এক যাত্রী জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে সেই সূত্রে আমরা বাসটি আটক করি। বাসটি মূলত চট্টগ্রাম সিটিতে চলাচলকারী বোয়ালখালীর জৈষ্ঠপুরা এলাকার ভানু দে নামক এক ব্যক্তির মালিকানাধীন।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়ন পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে মিনি বাসের এক যাত্রী শরীফ হোসেন জানান- মহাসড়কে বাসের চালক বেসামাল হয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছে। যা যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করার হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। খবর পেয়ে যাত্রীর মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানার পর সীতাকুন্ডের ইদুলপুর এলাকা একটি হোটেলের সামনে থেকে বাসটি আটক করে পুলিশ। এসময় বাসের চালককে গাড়ির কাগজ পত্র দেখাতে বললে- সে ব্যর্থ হলে পুলিশ তাকে আটক করে।
যাত্রীদের দেয়া তথ্য ও আটককৃত চালককে আরো জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বাসটি চুরি করে সে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল।পরবর্তীতে কুমিরা হাইওয়ে থানা চট্টগ্রামের বাস মালিক সমিতির মাধ্যমে বাসের প্রকৃত মালিককে খোজ করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করে। গত ৬ জুলাই বাড়ির সামনে থেকে বাস চুরি হবার ঘটনায় মালিক ভানু দে একটি মামলাও দায়ের করেছেন। ওই মামলায় শহিদুলকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ জাকির রাব্বানী বলেন, বাস চুরির ঘটনায় বোয়ালখালী থানায় যে মামলা দায়ের হয়েছে, সেই মামলায় শহিদুল ইসলামকে বোয়ালখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসটি আসল মালিককে বুঝিয়ে দেবেন পুলিশ।