আগামী
শনিবার (১৫ মার্চ) সারাদেশে দিন ব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন
অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস
ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার
(১৩ মার্চ) সকালে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সাংবাদিকদের এ তথ্য
জানান জেলা সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,
ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা মো. সারোয়ার আকবরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
কর্মশলায় ভিডিও প্রেজেন্টেশন করেন ডা ফারিয়া জাফরিন আনসারী।
মেডিকেল
অফিসার (ডিআরএস) ডা. ফাতেমা আক্তারের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বলা
হয়, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয় দেশের সব শিশুর অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে
বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে এবার ১৫ মার্চ শনিবার সকাল ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের
জেলার ১৭ টি উপজেলার ৫০৩৯টি ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
খাওয়ানো হবে।
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব
নেতৃত্বের পুষ্টি ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ
করে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের
মধ্যে রাতকানা রোগের হার ৪.১০ শতাংশ ছিল। ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ
কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়।
পরবর্তীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই
বললেই চলে।
বক্তব্যে সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ বলেন,
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায়
পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির
হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। আগামী ১৫
মার্চ শনিবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা এবং ১টি
সিটি করোপরেশনসহ পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সর্বমোট ৫০৩৯ টি কেন্দ্রে ৬ থেকে
১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী
শিশুদের লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।