নারী
ফুটবলে চলমান টানাপোড়েন আরও জটিলতার দিকে মোড় নিচ্ছে। এবার কোচ পিটার জেমস
বাটলার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দিষ্ট কয়েকজন খেলোয়াড় থাকলে তিনি থাকবেন
না। ওই ‘বিদ্রোহীদের’ সঙ্গে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন এই
ইংলিশ কোচ।
নির্দিষ্ট কয়েকজনের নাম অবশ্য বুধবার বাংলাদেশ ফুটবল
ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলোচনায় উল্লেখ করেননি
পিটার। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সাত জন হলেন-সাবিনা খাতুন, মাসুরা
পারভীন, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন
নীলা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। এই সাত জনই দুটি উইমেন’স সাফ জয়ী দলের
খেলোয়াড়।
খেলোয়াড় ও কোচ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে
কমিটি করে দিয়েছে বাফুফে। সেই কমিটির কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন
পিটার। তার বিরুদ্ধে ১৮ জন ফুটবলারের করা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলে
দাবি করেছেন ২০২৪ উইমেন’স সাফ জয়ী এই কোচ।
“নির্দিষ্ট কয়েকজন ডাহা
মিথ্যা বলছে একটা ভবনে বসে, যেখানে বাফুফে তাদের খাবার, আবাসন সবকিছু দেয়।
বিষয়টি আমার কাছে একেবারেই অবিশ্বাস্য যে, তারা এটা অনুমোদন করছে। যে
কথাগুলোর মধ্যে কোনো সত্যতা নেই, ভিত্তি নেই, মিথ্যা গল্প, কান্না, যেগুলো
একেবারেই নির্বোধের কাজ। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। বন্ধ হতে হবে।”
কদিন আগে
তিন পৃষ্ঠার বিবৃতি দেওয়ার সময় সাবিনা-মাসুরারা বলেছিলেন, পিটার কোচ থাকলে
তারা অনুশীলনে ফিরবেন না। পদত্যাগ করবেন। সেই সিদ্ধান্তেই অটল আছেন
বিদ্রোহীরা। এবার পিটারও জানালেন, সমঝোতার পথ বন্ধ।
“আমি তাদেরকে (তদন্ত
কমিটি) নামগুলো দিয়েছি। নির্দিষ্ট কিছু নাম। তাদের কথার কোনো ভিত্তি নেই।
ডাহা মিথ্যা বলছে। আমি এদেরকে অনুশীলন করাব না, যদি আমি কোচ থাকি। যদি
তাদের ও আমার মধ্যে বেছে নিতে হয় (বাফুফেকে), তাহলে সেটাই হোক। কোনো
সমঝোতার সুযোগ নেই। আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই।
এটা কর্তৃপক্ষের পছন্দ, হয় তারা থাকবে, নয়ত আমি থাকব।”
“আমি বড় হয়েছি,
চওড়া কাঁধ আছে (দায়িত্ব নেওয়ার) । আমি যুক্তরাজ্য থেকে এসেছি। আমি তাদের
কোচ। তারা এখন যেভাবে পারফর্ম করছে... তারা কি আসলেই বুঝতে পারছে, এভাবে
মিথ্যা বলে চলা যায় কিনা। তারা ভাগ্যবান মেয়ে। কিন্তু টানা দুইবার সাফ জিতে
নির্বোধের মতো কথা বলছে!”
শৃঙ্খলার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশের মেয়েরা বিদেশের লিগে সেভাবে খেলতে পারছে না বলেও মনে করেন পিটার।
“ক’জন
বাংলাদেশি মেয়ে বিদেশের লিগে খেলে? তারা পারে না, কেননা, তাদের মধ্যে কোনো
শৃঙ্খলা নেই। সেটাই কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রতিফলিত হচ্ছে।”