বাংলাদেশ
ফুটবল ফেডারেশন এলিট একাডেমির আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে বড় সংকটে পড়েছে।
কমলাপুর স্টেডিয়ামের পরিবেশ ফুটবল উপযোগী নয়। এলিট একাডেমির ফুটবলাররা আবার
প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অংশগ্রহণ করবে। ফলে অন্য
জেলায় গিয়ে ক্যাম্প করাও সম্ভব নয়। তাই বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটি কমলাপুর
স্টেডিয়ামেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পুনরায় এলিট একাডেমির কার্যক্রম শুর
করতে চায়।
আজ দ্বিতীয় সভা শেষে ডেভলপমেন্ট কমিটির প্রধান নাসের
শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, 'আগের সভায় আমরা চার সদস্যের একটি কমিটি করেছিলাম
এলিট একাডেমি সংক্রান্ত বিষয়। তারা পাঁচ পাতার খুব সুন্দর প্রতিবেদন
দিয়েছে। আমরা কমলাপুর স্টেডিয়ামে কিছু সংস্কার করে এখানে একাডেমি কার্যক্রম
শীঘ্রই শুরু করব।'
কমলাপুর রাজধানীর অন্যতম শব্দদূষণময় এলাকা। কমলাপুর
রেল স্টেশন, দূরপাল্লার বাসের হর্ণ ছাড়াও স্টেডিয়ামে থাকার পরিবেশ, টয়লেট
ব্যবস্থাও যথেষ্ট মানসম্মত নয়। এজন্য বাফুফে এলিট একাডেমি যশোরের শামসুল
হুদায় স্থানান্তরিত হওয়ার একটা আলোচনা ছিল।
সামগ্রিক বাস্তবতায় সেই
অবস্থান থেকে খানিকটা সরেই এসেছে ডেভলপমেন্ট কমিটি, 'এলিট একাডেমি স্থায়ী
নিবাসের জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব। ঢাকায় বা আশেপাশে অন্তত দশ
কাঠা জায়গা যদি পাওয়া যায় আমরা নিজ উদ্যোগে বাকি ব্যবস্থা করব। এটা পাওয়ার
আগ পর্যন্ত কমলাপুর স্টেডিয়ামে পাশাপাশি যশোরের শামসুল হুদা একাডেমির সঙ্গে
সমন্বিত করে পরিচালনা করা হবে।'
মে মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ
রয়েছে। সেই চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য রাজশাহী বিকেএসপিতে নিবিড় প্রশিক্ষণ
করানোর পরিকল্পনা ডেভলপমেন্ট কমিটির। এই বছর নভেম্বরে রয়েছে সাফ ও এএফসি
অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টকে বেশি জোর দিচ্ছে ডেভলপমেন্ট
কমিটি, 'আমরা যশোরের শামসুল হুদা একাডেমিতে অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে অন্তত পাঁচ-ছয়
মাস অনুশীলন করাতে চাই। যেন অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টে আমরা ভালো ফলাফল
করতে পার।'