
আমি বিজয় দেখেছি
মুজিবুর রহমান দুলাল ।।
আমি বিজয় দেখেছি,
দেখেছি লাল সবুজের পতাকা
পথপথ করে উড়তে।
লাখো শহীদের রক্তস্নাত,আত্মাহুতি,
মা-বোনদের সম্ভ্রম আর
মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগ।
তবেই না বিজয়!
আবার, দেখেছি বিজয়ের প্রাক্কালে
রাতের অন্ধকারে নরপশুদের হিংস্র থাবা।
জাতিকে মেধা শূন্য করতে
অজস্র বুদ্ধিদীপ্ত মানুষগুলোকে ধরে নিয়ে হত্যা।
শকুনের মত মা-বোনদের ছিঁড়ে খাওয়া,
আরো কতো কি!
তবেই না বিজয়!
আবার, দেখেছি বাবার সামনে
মেয়ের ইজ্জত কেড়ে নিতে,
মায়ের সামনে ছেলেকে হত্যা করতে।
বোনের সামনে ভাইয়ের রক্ত নিয়ে হলি খেলতে।
ভাইয়ের সামনে বোনের সম্ভ্রম
কেড়ে নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকতে।
তবেই না বিজয়!
পরাজয়কে নিষেধ করে দিয়েছি
আলী হোসেন চৌধুরী ।।
আমি তো আছিই এই কল্পকুয়াশার মতো
বেদনার্ত-শীতার্ত, উজ্জ্বল রোদের মতো, তীব্র দহনের মতো
আমি তো আছিই এই ধূলিধূসরতার কোমললতায়
পাপড়ি ছড়ানো পুষ্পের মতো কাল-কে ধারণ করে
স্মরণকালের সংগ্রামের আর সৌরভের গল্প
আনন্দ গৌরবের শোণিত ধারায়।
আমি কুয়াশার ভেতর জ্যোৎস্নার রং মাখি
আমার তারুণ্য উদ্দীপ্ত উত্থান থামাতে পারেনি কেউ
নিশান্তে-দিশান্তে বিশাল বুকের পাটাতন
আমাকে থামাতে পারেনি কেউ
অবিরত গান
করুণ অভিমান
ক্লিষ্ট জীবনের গ্লানি প্রতিদিন ছাড়িয়ে উঠি
আমার স্বপ্নগুলো তীব্র আকাক্সক্ষায় জ¦লে ওঠে
আমার পরাজয় নেই
আমি মেঘ অতিক্রান্ত সূর্যপ্রহর
অমল ধবল বৃষ্টির জল
প্রমত্ত ঢেউ সংকুল
তবুও তৃষ্ণার জল হয়ে উঠি।
আমি শুয়ে থাকি কার্তিকের গন্ধমাখা শস্যের ভরামাঠে
হেমন্তের দোলায়িত নিসর্গের পত্রাঞ্জলি ক্লান্তিহীন
আমি তো আছি হাজার বছর থেকে
সংকটে সৃজনে উত্তরণে
আমাকে থামাতে পারবে না কেউ
আমি পরাজয়কে নিষেধ করে দিয়েছি
আমি থাকবো, আমার পরাজয় নেই
আমার স্বভাব উঠে দাঁড়াবার।