প্রকাশ: রোববার, ১৮ মে, ২০২৫, ১:১৮ এএম আপডেট: ১৮.০৫.২০২৫ ২:২০ এএম |
কুমিল্লায় সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয়দের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন ঠেকাতে সতর্কতায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পুশইন ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধ দমনে সীমান্ত জুড়ে টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বিজিবি-১০ ব্যাটালিয়ন।
শনিবার দুপুরে (১৭ মে) কুমিল্লা কোতয়ালী থানার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বিবির বাজার, কটকবাজার, গোলাবাড়ি, শাহাপুর এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় পুশইনসহ নানান অপরাধ ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবিকে সক্রিয়ভাবে টহল দিতে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। টহলরত বিজিবি সদস্যরা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় পুশ ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, গত বুধবার ভারতীয়দের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন ঠেকাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বালুজুরী বিজিবি বিওপি ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন শেষে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রেজাউল কবির গনমাধ্যমকে জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার যেসব স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখান থেকে কোন তথ্য পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

১০ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মীর আলী এজাজ বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে কারণে আমরা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি। যেহেতু দেশের কয়েকটি স্থানে পুশ ইনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুশ ইনের ব্যাপারে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুশইনকে কেন্দ্র করে বিজিবি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। যেসব এলাকায় পুশইন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেসব এলাকায় আনসার এবং ভিডিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমার অধীনে টোটাল ৯৬.১০ কিলোমিটার সীমান্তবর্তী এরিয়া রয়েছে। এই পুরো এরিয়ায় সার্বক্ষনিক নজরদারী রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই যেসব এলাকায় নজরদারী রাখা সম্ভব নয় সেখানে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা কাজ করছে। স্থানীয় জনসাধারণকে এ বিষয়ে সর্তক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এলাকার মসজিদগুলোতে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত পুশ ইনের কোন ঘটনা ঘটেনি। পুশইন ছাড়াও চোরাচালান, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, নারী ও শিশু মানব পাচার, মাদক পাচার, অবৈধভাবে অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে আমরা পূর্বের চেয়েও এখন বেশি সর্তকতায় রয়েছি। বর্তমানে বিজিবির কার্যক্রম আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলার ১০৬ কিলোমিটার সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার মোট ৩২৭ কিলোমিটার সীমান্ত কুমিল্লা সেক্টরের অধীনে রয়েছে।