রণবীর ঘোষ কিংকর।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে অবৈধ
ভাবে দোকান-পাট নির্মাণ করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। ওইসব
দোকানিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২শ থেকে ৫শ টাকা ভাড়া আদায় করে নেয়
প্রভাবশালী মহল।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৬ নভেম্বর
অভিযান পরিচালনা করে ২শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। ওই উচ্ছেদ
অভিযানের পর সপ্তাহ গত না হতেই প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আবারও নতুন ভাবে
স্থাপনা গড়া শুরু হয়। মাত্র এক মাসের মধ্যেই নতুন ভাবে দুই শতাধিক
দোকান-পাট গড়ে উঠে। ওইসব অবৈধ দোকান-পাট গড়ে উঠার পাঁচ মাস পর আবারও অভিযান
চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
রবিবার (১৮ মে) বিকালে মহাসড়কের
চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা দুই শতাধিক অবৈধ
দোকান-পাট উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আবারও একই স্থানে সড়ক ও জনপথের
জায়গা দখল করে অবৈধ দোকান-পাট গড়ে উঠলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী
দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার
(ভূমি) ফয়সাল আল নূর।
তিনি জানান, প্রশাসন অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করবে
অপরদিকে সেখানে তারা আবারও দোকান-পাট গড়ে তুলবে তা হয়না। আমরা দ্বিতীয়বারের
মতো উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। পরবর্তীতে নির্দেশনা অমান্য করে যদি কেউ অবৈধ
স্থাপনা গড়ে তোলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি
নজরদারীতে রাখতে হাইওয়ে পুলিশকে বলা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা
করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূইয়া,
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) নূরুল ইসলাম,
উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মনিরুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর একটি দল।