৮
ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। স্বাধীনতার এই
৫৪ তম বিজয় দিবস স্মরণে ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লায় বিগত ২০০৮ সাল
থেকে কাবিলা ক্যাম্পাসে ৮-১৬ ডিসেম্বর ৯ দিন ব্যাপী বিজয় উৎসব পালিত হয়ে
আসছে। বিজয় উৎসব ২০২৫ নয় দিন ব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো ৮ ডিসেম্বর
কুমিল্লা মুক্ত দিবসের র্যালী, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, দেশি-বিদেশি
শিক্ষার্থী সহ ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতা সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আলোচনা, পুরস্কার বিতরণী,
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাপনী আয়োজন। ১৫ ডিসেম্বর হইতে
কাবিলা ক্যাম্পাসের মৈত্রী স্কয়ারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস
উপলক্ষ্যে ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কাবিলা ক্যাম্পাস সেজেছে নতুন রূপে।
মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী ও লাল-সবুজের বর্ণিল সাজে সেজেছে বিজয়ের এই
ক্যাম্পাস। ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টা থেকে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ এর উষালগ্নে
কর্মসূচীর শুরুতে কাবিলা ক্যাম্পাসে পতাকা মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়
পতাকা উত্তলন করা হয়। সকাল ১০:০০ টায় ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের
সম্মানিত পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী ও চিকিৎসকবৃন্দ, ইন্টার্ন ডাক্তার,
কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দেশী বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী সমেত এক বিজয় র্যালী
কাবিলা ক্যাম্পাসে মৈত্রী স্কয়ার, হাসপাতাল-কলেজ চত্ত্বর প্রদক্ষিণ শেষে
ক্যাম্পাসে স্থাপিত বিজয় মঞ্চ’ শাণিত’৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের
প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিজয় র্যালী ও শ্রদ্ধা
নিবেদন আয়োজনে অন্যতম পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ খোরশেদ আলম, ইস্টার্ন
মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ রুহিনী কুমার দাস, বিজয় উৎসব
কমিটির আহবায়ক ও এনেসথেসিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ এস এম তৌহিদুর
রহমান সহ অন্যরা র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।
সন্ধ্যা ৭টায় মৈত্রী স্কয়ারে
সজ্জিত বিজয় মঞ্চে কলেজ একাডেমিক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কলিম উল্লাহ এর
সভাপতিত্বে বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক
অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইস্টার্ন মেডিকেল
কলেজের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ড. শাহ্ মোঃ সেলিম।
আলোচনা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার
বিতরণীসহ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মাধ্যমে
বিজয় উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
