
চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেছেন,
বাংলাদেশে ২০২৪ সালে জুলাই আগস্টে একটি বড় পরিবর্তন হয়েছে, শুধুমাত্র
হাসিনা পালায় গেছে তা কিন্তু নয়। বরং এ জেনারেশনের চিন্তার একটি আমুল
পরিবর্তন ও আমুল বিপ্লব সাধিত হয়েছে। যার অনেকগুলো পদক্ষেপ আমরা
বিশ^বিদ্যালয়ের নির্বাচনে দেখেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুরাতন ধাচের যে
রাজনীতি ও সংস্কৃতি ছিল, তা প্রত্যাখান করে উদার, সহনশীলতা ও পরস্পরের
প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, গঠনমূলক রাজনীতির দিকে জেনারেশন আস্তে আস্তে ধাবিত
হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য আশার দিক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জুলাই-আগষ্টের
পর আমরা ভেবেছিলাম, রাজনীতির সংস্কৃতিতে আমুল পরিবর্তন হবে। কিন্তু কিছু
কিছু ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর মাঝে এ পরিবর্তন টা লক্ষণীয় না। বরং কিছু কিছু
ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা যে কাজগুলো করে যেতে পারেনি, কিছু
কিছু দল বা গোষ্ঠী সেই কাজগুলো নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে
আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশে কোন ধরনের হত্যা, খুন ও গুমের রাজনীতি আর চলবে
না। পাথর মেরে মানুষ হত্যা, চাঁদাবাজী ও দুর্নীতির রাজনীতি চলবে না। এ
প্রজন্ম এসব ঘৃণ্য রাজনীতি মেনে নিবে না।
তিনি আরও বলেন, এ প্রজন্ম খুনি
হাসিনার মতো ফ্যাসিষ্টের পতন ঘটাতে পারে। সুতরাং এ বাংলাদেশে সহনশীলতার
রাজনীতি করতে হবে। কিন্তু পরস্পর কাঁদা ছোড়াছাড়ি বা হামলার রাজনীতির
জুলাই-আগষ্টে কবর রচনা হয়েছে।
তিনি রোববার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
উপজেলার মিয়াবাজারে উজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নির্বাচনী গণমিছিল শেষে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর
মাওলানা আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা আমীর এডভোকেট মু. শাহজাহান, সাবেক আমীর আবদুস সাত্তার,
কুমিল্লা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা
আমীর মাহফুজুর রহমান, পৌর আমীর মাওলানা ইব্রাহিম, উপজেলা সেক্রেটারি বেলাল
হোসাইন, মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শিবির সভাপতি
মহিউদ্দিন রনি। এ সময় ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী বোরহান উদ্দিন, যুব
বিভাগের সভাপতি আবুল তালেব মনির, জামায়াত নেতা জামাল উদ্দিন, শ্রমিকল্যাণ
ফেডারেশনের সভাপতি কোরবান আলীসহ নেতৃবৃন্দ। এরআগে বিপুল সংখ্যক জামায়াত
শিবির নেতাকর্মীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডাঃ তাহেরের পক্ষে ও দাঁড়িপাল্লা
প্রতীকের সমর্থন মিয়াবাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণমিছিল করে।
