সরকারকে
না জানিয়েই আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের দাম
বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এছাড়া ব্যবসায়ীরা যেভাবে দাম বাড়িয়েছেন, তার কোনো আইনি ভিত্তিও দেখছেন না তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ থেকে বেড়ে ১৯৮ টাকা হয়ে যায়। খোলা তেলের লিটারে বাড়ে ৫ টাকা।
বশিরউদ্দীনের ভাষ্য, দাম বাড়ানোর তথ্যটি তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে জেনেছেন।
এভাবে দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ““যে কাণ্ড ওনারা করেছেন, এর কোনো আইনি ভিত্তি নাই।”
সরকারের
তেল কেনার সবশেষ তথ্য তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “ওনারা (ব্যবসায়ীরা) যে
দামে আজ বাজারে তেল বিক্রি করছেন, সেখান থেকে প্রায় ২০ টাকা কমে আমাদেরকেই
তেল দিয়েছেন।
“তাহলে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রির কোনো যৌক্তিকতাই দেখি
না। গতকালই তো কিনেছি ওনাদের থেকে; ৫০ লাখ লিটার তেল কিনেছি; এক-দুই লিটার
না। যদি ৫০ লাখ লিটার তেল টেন্ডারে ২০ টাকা কমে আমরা কিনতে পারি, তাহলে
বাজারে কেন এত দাম হবে? যৌক্তিক কারণ তো আমি খুঁজে পাচ্ছি না।”
দাম
বাড়ানোর বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নেবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের
পদক্ষেপগুলো তো নিব। আমরা আলোচনায় বসেছি। এটা তো আর মার্কেটে গিয়ে তলোয়ার
নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।
“সুতরাং আমাদের পদক্ষেপগুলো নেওয়ার জন্য আমাদের আলোচনার বিষয় আছে।”
ব্যবসায়ীরা
কী তাহলে সরকারের চেয়ে ক্ষমতাবান— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা
বলেন, “বাজারে যে দাম বাড়িয়েছিল এবং যেটার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করি নাই,
তার দাম তো বাড়ে নাই।
“আপনি তো দেখেছেন যে, তারা বিজ্ঞপ্তি আকারেও দাম বাড়িয়েছিল, যেটায় আমরা রাজি হই নাই। গত আড়াই মাস তো আগের দামেই বেচাকেনা হয়েছে।”
তিনি
বলেন, “যদি যৌক্তিক কারণ থাকে বাড়ানোর, আমাদের আলোচনা করতে সমস্যা নেই।
কারণ, আমরা সরবরাহ ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চাই; বিঘ্নিত করতে চাই না। কিন্তু
সেটা আইনের ভিত্তিতে এবং যেভাবে হয়ে আসছে, সেভাবে আমরা সমাধান করব।”
এর
আগে গত ১৪ অক্টোবর ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল
অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সেদিন
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয় টাকা এবং খোলা তেল আট টাকা করে
বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকারের তরফে সেই সিদ্ধান্তে সায় মেলেনি।
