
ত্রয়োদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের মাঠ প্রশাসনে রদবদলের প্রক্রিয়া
শুরু হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও অফিসার ইনচার্জ পদে পরিবর্তন আসবে।
সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় লটারি করে নির্বাচনের সময়
দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৪ জেলার এসপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক–দু’দিনের মধ্যে
প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এরপর তাদের পদায়ন করা হবে। লটারি মাধ্যমে যারা
চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছেন তাদের এক–চতুর্থাংশ নতুন মুখ। বাকিরা বর্তমানে
বিভিন্ন জেলায় এসপি হিসেবে রয়েছেন। লটারির মাধ্যমে জেলা পরিবর্তন হয়েছে।
মঙ্গলবার
পুলিশের একটি সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ওই সূত্র বলছে, ১৪ থেকে ১৬
জনের মতো কর্মকর্তা আছেন যারা নতুনভাবে জেলার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন
করবেন। বাকি ৫০ জনের মতো এসপির লটারির মাধ্যমে তাদের জেলা বদল হয়েছে।
পুলিশের
এক কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন ঘিরে গুরুত্ব বিবেচনা করে ৬৪ জেলাকে এ, বি,
সি– এমন তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সিলেট,
বরিশাল, যশোর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, দিনাজপুরসহ বেশ কিছু জেলাগুলো এ
ক্যাটাগরিতে ছিল। ‘যোগ্য’ কর্মকর্তাদের বাছাই করে একটি ফিটলিস্ট করা হয়। ৬৪
জেলার এসপিদের মধ্যে ১৪ থেকে ১৬ জন বাদ পড়েছেন। বর্তমান এসপিদের মধ্যে ৫০
জনের মতো রয়েছেন যারা লটারির মাধ্যমে যে জেলায় তার নাম এসেছে সেখানে ভোটের
সময় দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্র বলছে, ভোটের সময় যারা এসপি হিসেব থাকছেন তাদের অধিকাংশ বিসিএস ২৫ ব্যাচের। বাকিরা ২৭ ব্যাচের।
এদিকে
ভোটের সময় ওসি পদায়নও লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত করার বিষয়ে ভাবছে পুলিশ। সৎ,
নিরপেক্ষ ও যোগ্য পরিদর্শকদের তালিকা এরই মধ্যে ইউনিট প্রধানদের কাছ থেকে
সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, যমুনায় লটারির সময়
উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর
পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের
প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, ত্রয়োদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘যোগ্য’ এসপি খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া আগে থেকে
শুরু করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। এ জন্য বর্তমানে ৬৪ জেলায় যারা পুলিশ সুপার
হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের যোগ্যতার মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করা
হয়েছে। রেঞ্জ ডিআইজিদের মাধ্যমে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে।
জেলার দায়িত্বে
আছেন এমন এসপি ছাড়া বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত একই পদমর্যাদার ‘যোগ্য
কর্মকর্তা’র তালিকা তৈরির করা হয়। তাদের সবাইকে নিয়ে পুল গঠন করা হয়। পৃথক
তিনটি পুল থেকে নির্বাচনকালে মাঠ প্রশাসনে পুলিশ সুপার লটারির মাধ্যমে
চূড়ান্ত করা হয়।
