কুমিল্লার
দেবিদ্বার উপজেলার পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাত নেতার বহিস্কারাদেশ
প্রত্যাহার করে পুনরায় দলে ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপি। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই দলের
প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল তাদের।
আজ
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের
বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে গত ২০ নভেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক
সহ সভাপতি মো. শাহজাহান মোল্লার বহিস্কারদেশ প্রত্যাহার করা হয়। তিনি
মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি সন্ধ্যায়
নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক
মুন্সি।
স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে জানা গেছে, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা
বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আপনাদের দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা
হয়েছিল। পরে স্ব স্ব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্যপদ ফেরত দেওয়া হয়েছে। দলে
ফিরিয়ে নেওয়া নেতারা হলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি
মো. শাহ জাহান মোল্লা, দেবিদ্বার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.
আবদুর রহিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসিন সরকার, পৌরসভার ২ নম্বর
ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.বশির সরকার, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক
সভাপতি মো. শহিদ, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.আবুল কালাম আজাদ,
৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হালিম সরকার।
কুমিল্লা
উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. শাহজাহান মোল্লা বলেন, ২০২৩ সালের
১৭ জুলাই পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ায় তার দলীয় পদ স্থগিত করা
হয়েছিল। একই নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আরও ছয়জন নেতার
পদও স্থগিত হয়। তিনি জানান, গত ২০ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
করা হয়েছে এবং আজ সোমবার বাকি ছয় নেতার বহিষ্কারাদেশও প্রত্যাহার করা
হয়েছে। বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে যে কাউকে বহিস্কার করা হয়।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে
এসেছে। নেতারা পুনরায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত,
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই দেবিদ্বার পৌরসভা
নির্বাচনে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মো. শাহ জাহান
মোল্লা মেয়র পদে এবং অন্যরা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে
ওই বছরের ১১ জুলাই তাদের দলীয় সব পদ থেকে আজীবন বহিস্কার করা হয়।
