কুমিল্লার
লাকসামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুকের সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে
বেড়ে চলেছে। অস্বাভাবিক হারে মিশুক-অটোরিকশার বৃদ্ধি এবং যত্রতত্র
পার্কিংয়ের ফলে অসহনীয় তীব্র যানজটে নাকাল পৌরশহরের বিভিন্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানাহ শ্রেণি-পেশার মানুষ। লাকসামের
যত্রতত্র গড়ে ওঠেছে এসব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুক নির্মাণ কারখানা।
এসব অবৈধ যানবাহন নির্মাণে প্রশাসনের যেনো নজরেই আসছে না!
ব্যাটারী
চালিত ওইসব অটোরিকশা ও ইজিবাইকের চালকদের কোনো সিগন্যাল জ্ঞান না থাকায়
তাদের খেয়াল-খুশি মতো এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল, যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী
উঠা-নামা, সড়কের ওপর অবৈধ স্ট্যান্ড এবং ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় অতিমাত্রায়
বাড়ছে যানজট। এতে জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ
সংক্রান্তে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, উপজেলা
প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন?
লাকসামের মানুষ কি তাহলে অটোরিকশার কাছে জিম্মি ও অসহায় হয়ে থাকবে?
নাগরিকদের এমন প্রশ্নে গণমাধ্যমকর্মীরাও অনেকটাই নির্বাক!
এদিকে
ব্যাটারী চালিত এসব অটোরিকশা ও মিশুক'র নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে
ওঠছেন লাকসামের সচেতন নাগরিক সমাজ। তাঁরা আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাদ
জুম'আ দৌলতগঞ্জ স্টেশন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেছেন।
ব্যাটারী
চালিত এসব মিশুক-অটোরিকশার চালক অধিকাংশ কমবয়সী শিশু-কিশোর। চলন্ত আতঙ্ক
হয়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। তারা সড়ক আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে বেপরোরা
গতিতে দাবড়িয়ে বেড়ায়। ওইসব ব্যাটারী চালিত মিশুক-অটোরিকশার বেপরাগতি, ও
অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। থামছে না মৃত্যুর মিছিল।
গত
তিনমাসে ব্যাটারী চালিত এসব মিশুক-অটোরিকশা দুর্ঘটনার কারণে কমপক্ষে ১৪
থেকে ১৫জনের প্রাণহানী ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
গত মঙ্গলবার
(১৮ নভেম্বর) দুপুরে পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড
সংলগ্ন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দু'জন মোটরসাইকেল আরোহী সড়কের
ওপর ছিটকে পড়ে। তাঁরা সার বোঝাই একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন নিহত
হয়েছেন। অপরজন গুরুতর আহত হন। নিহত যুবকের নাম শাহাদাত হোসেন স্বাধীন (২৭)।
তাঁর বাড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাজিমুড়া গ্রামে। একই গ্রামের ফারুক
নামে আহত অপর যুবকের শরীর থেকে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এ ছাড়াও গত ৯ অক্টোবর লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়কের মোহাম্মদপুর ঈদগাহের কাছে তানভীর নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
গত
১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে লাকসাম–নাঙ্গলকোট সড়কের উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের
দামবাহার এলাকায় এক দুর্ঘটনায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত এবং
৬ জন আহত হয়। তারও কয়েকদিন আগে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের খিলায়
বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দু'জন মারা গেছেন।
এ ছাড়াও
পৌরশহরের জংশনের অদূরে লাকসাম-মুদাফরগঞ্জ রাস্তার মুখে, ভৈষকোপালিয়া,
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তরদায়, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়কের
গোবিন্দপুর, লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কের উত্তরকুল, পৌরশহরের ফতেপুরসহ বেশ
কয়েকটি স্থানে দুর্ঘটনায় অনেকেই হতাহত হয়েছেন।
বৃহত্তর কুমিল্লা
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এসোসিয়শন'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম জানান,
তিনি গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পৌর ভবন সংলগ্ন সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে
যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তাঁকে এমনভাবে চাপা দেয়
তিনি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান।
তাঁর দাবি, লাকসাম পৌরশহরে বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুক রয়েছে। যার অধিকাংশই অবৈধ।
তিনি
বলেন, যাচাই-বাছাই ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ চালকসহ সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই
হাজার এসব অটোরিকশা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত নিবন্ধন এবং নির্দিষ্ট রং
ব্যবহারসহ যথাযথ নিয়ম-কানুন মেনে চলাচল করলে যানজট নিরসন করা সম্ভব। তবে
সেক্ষেত্রে পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদারকি থাকা বাঞ্চণীয়।
গত
বুধবার (১৯ নভেম্বর) লাকসাম পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে গিয়ে কথা হয় নুরুল
ইসলামের (৪৫) সঙ্গে। তাঁর বাড়ি লালমাই উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামে। একই
উপজেলার কনকশ্রী গ্রামের মো. আবদুর রহিমের (৫৫) সঙ্গেও কথা হয়। তাঁরা
দু'জনই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক।
তাঁরা জানান, গ্যারেজ মালিক থেকে
ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন লাকসাম পৌরশহরে অটোরিকশা চালায় তাঁরা। 'প্রতিরাতে
ব্যাটারী চালিত একটি অটোরিকশার চার্জ দিতে ১২০ টাকা লাগে। রাতে চার্জ দিয়ে
দিনে চালায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অটোরিকশার চালিয়ে ৮শ থেকে ৯শ টাকা আয়
করেন। তন্মধ্যে মালিককে ৪শ’ টাকা দিতে হয়। সারাদিনে নিজে খাওয়া-দাওয়াসহ
আনুষাঙ্গিক ১২০-১৩০ টাকা খরচ হয়ে যায়। দিনশেষে তিন থেকে সাড়ে তিন'শ টাকা
দিয়ে কোনোমতে সংসার চালায়।
তাঁরা আরো জানান, জীবিকার তাগিদে অটোরিকশা
নিয়ে সকালে বের হই। কিন্তু তীব্র যানজটের কারণে হাঁফিয়ে উঠি। ৮-১০ মিনিট
চালালে ২০-২৫ মিনিটই জ্যামে (যানজটে) আটকে থাকতে হয়। ফলে দুপুরের পরই
ব্যাটারি চার্জ শেষ হয়ে যায়। এতে আয় রোজগার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন
তাঁরা।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) লাকসাম পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে কমপক্ষে
১৫জন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরাও যানজটের এই ভয়াবহ
অবস্থার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় একজন চালক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কেবল
আমাদের দোষটাই দেখলেন। সড়কের ওপর যে, দোকানপাট বসিয়ে সড়কের দুইপাশ দখল করে
রেখেছে তা দেখেন না!
এগুলো সরিয়ে দিলে তো যানজট কমে যাবে। জনসাধারণও নিবিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে।
পৌরসভার
পশ্চিমগাঁয়ের বাসিন্দা মো.ইয়াসিন আরাফাত জানান, লাকসাম পৌরশহরে চাহিদার
তুলনায় অধিকহারে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বেড়ে গেছে।
যত্রতত্র সড়কের ওপর অবৈধ স্ট্যান্ড, অদক্ষ চালক এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের
অনিয়ন্ত্রন ও উদাসীনতার কারণে মূলত; যানজট বেড়েই চলছে।
লাকসাম পৌরসভা
সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার মিশুক ও ২৭টি ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছিলেন
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। যেগুলো কেবলমাত্র পৌরশহরে চলাচল করার কথা। কিন্তু
আশপাশের ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে এসে পৌরশহরের এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ও
মিশুকের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সড়কের যানযট নিরসনকল্পে পৌরসভা
কর্তৃক শহরের বিভিন্ন স্থানে ১১জন কর্মী দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও লাকসাম
প্রধান প্রধান সড়কে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছে ৭ জন পুলিশ।
সরেজমিনে
গিয়ে তাঁদের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না। সড়কের যানজট নিরসনে শহরের
কয়েকটি পয়েন্টে পৌর কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকলেও তারা যানজট নিরসনে
তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেন না। এমতাবস্থায় তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে
পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
দেখা গেছে, পৌরশহরের ব্যস্ততম ব্যাংক রোড, চাল
বাজার, ধান বাজার, থানা রোড়, নোয়াখালী রেলগেট, লাকসাম সরকারি পাইলট স্কুল
রোড, পৌরসভা রোড, চৌদ্দগ্রাম রোড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড রোড, হকার্স
মার্কেট, উত্তর বাজার চাঁদপুর রেলগেইট থেকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক
মহাসড়কের দক্ষিণ বাইপাস এবং উপজেলা পরিষদের প্রধান সড়ক রোডে প্রতিনিয়তই
যানজট লেগে থাকে। এই যানজটের কারণে হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তি
পোহাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭
হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মিশুক ও ইজিবাইক চলাচলকরে। তাছাড়া দিনের
বেলায় ট্রাক, লরি, ট্রাক্টর, পিকআপ ভ্যান, ড্রামট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের বড়
বড় যানবাহন পৌরশহরের ভেতর সড়কগুলোতে অবাধে চলাচল করছে। ফলে যানজট আরো তীব্র
হচ্ছে।
পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পৌরশহরের চার
দিক থেকে লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট, লালমাই, চৌদ্দগ্রাম ও সোনাইমুড়ী
উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন এ শহরে প্রবেশ করে। তাঁরা এ শহর হয়ে দিয়ে
ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এতে
পৌরশহরের সড়কগুলোতে দিনরাত যানজট লেগেই থাকে।
এদিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় সড়কের ওপর দু'পাশে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাখার কারণে ওই সড়কের বড়
অংশ দখল হয়ে যায়। ফলে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা ওই সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগেই
থাকে।
এ ছাড়া, বাইপাস ডায়গনস্টিক সেন্টার, কবুতর বাজার, রেলগেট (রিনা
হোটেল) সামনে প্রধান সড়কের দু’পাশে ইজিবাইক ও মিশুকের অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব
স্ট্যান্ড সড়কের বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। ফলে ওইসব স্থানে নিত্য যানজট লেগেই
থাকে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী এবং তাঁদের স্বজনরা।
জসিম উদ্দিন নামে একজন
ভূক্তভোগী নাগরিক জানান, পৌরশহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক ব্যাপক
হারে বেড়ে গেছে। ব্যস্ততম সড়কের মোড়গুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে লেগেই
থাকে। পৌর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এগুলো নিয়ন্ত্রনে
চরমভাবে ব্যর্থ।
লাকসাম ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইনচার্জ আমিনুল কবির বলেন, সড়কের যানজটের অন্যতম কারণ হলো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি।
তিনি
বলেন, এ ক্ষেত্রে পৌরসভার নিবন্ধন করা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক
চিহ্নিত করা দরকার। যেনো বাইরের কোনো অটোরিকশা শহরে ঢুকতে না পারে। তাহলে
যানজট নিরসন ট্রাফিক পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সুবিধা হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি একাধিকবার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন না।
লাকসাম
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ মজির আহমেদ জানান, ফুটপাত দখল মুক্ত এবং
সড়কের ওপর থেকে ভাসমান দোকানপাট সরানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া, পৌরশহরের আশপাশের ইউনিয়নের অটোরিকশার ও
মিশুকের জন্য দৌলতগঞ্জ বাজারের বাইরে নির্দিষ্ট ষ্ট্যান্ড করতে পারলে
অন্তত বাজারের যানজট অনেকটা লাঘব হবে।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও
সহযোগিতা পেলে পুলিশ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
এই
ব্যাপারে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নার্গিস সুলতানা বলেন,
বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। যানজট নিরসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যে
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে। এ ছাড়াও আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি, খুব শিঘ্রই কার্যকর
পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
