পৃথিবীর জীবনে
মানুষকে অফুরন্ত সুযোগ, স্বাধীনতা ও ইচ্ছাধীকার দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।
এখানে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। চাইলে আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় জীবন
পরিচালনা করে সবার ওপর ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে।পৃথিবীতে মানুষকে যে
আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছে সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে
পারে। হতে পারে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব এবং সুন্দর করতে পারে নিজের দুনিয়া ও
পরকালের জীবন।
এর বিপরীতে কেউ চাইলে আল্লাহর নির্দেশিত পথের বিরুদ্ধে
অবস্থান নিয়ে নিজেকে বিপথগামী করতে পারে এবং জালেমের খাতায় নিজের নাম
লেখাতে পারে। পরীক্ষা করার জন্য এবং পরকালের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য
দুনিয়াতে মানুষকে পাঠিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। তাই তাদেরকে এই ইচ্ছাধীকার ও
সুযোগ দিয়ে রেখেছেন তিনি।
ইচ্ছাধীকার পেয়ে মানুষ যেভাবে জীবন পরিচালানা
করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে তার কর্মফল অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। কেউ সৎ ও
ন্যায়ের পথে চললে তাকে উত্তম প্রতিদান দেবেন। কেউ অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুম
করলে তাকে দেওয়া হবে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
পবিত্র কোরআনের
একাধিক জায়গায় অত্যাচারী জালেমের শাস্তির কথা আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ
তায়ালা বলেছেন, আমি জালিমদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছি। যার বেষ্টনী
তাদেরকে পরিবেষ্টন করে থাকবে। তারা পানি চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর
ন্যায় পানি। যা তাদের মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দিবে। এটা কতই না নিকৃষ্ট পানীয় এবং
সে জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়। (সুরা কাহাফ, আয়াত : ২৯)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, অত্যাচারীরা শীঘ্রই জানবে কোথায় তাদের গন্তব্যস্থল!(সুরা শুআরা, আয়াত : ২২৭)
অনেক
সময় আমরা জালিমকে অনায়াসে মানুষের উপর জুলুম করতে দেখি। পরিস্থিতি দেখে
মনে হয়, তাকে থামানোর কেউ নেই। কিন্তু ব্যাপারটা কখনোই এমন হতে পারে না।
বরং আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে কিয়ামতের দিনের কঠিন শাস্তির অপেক্ষায় রেখেছেন।
এ
বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, তুমি কখনো মনে করো না যে, জালিমরা যা করে
যাচ্ছে আল্লাহ তায়ালা সে ব্যাপারে গাফিল। বরং তিনি তাদেরকে সুযোগ দিচ্ছেন
কিয়ামতের দিন পর্যন্ত। যে দিন সবার চক্ষু হবে স্থির বিস্ফারিত। সে দিন তারা
ভীত-বিহবল হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে ছুটোছুটি করবে। তাদের চক্ষু এতটুকুর জন্যও
নিজের দিকে ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে একেবারেই আশা শূন্য। ( সুরা
ইব্রাহিম, আয়াত : ৪২-৪৩)
