দাউদকান্দি
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা
প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, লুটপাট, ক্ষমতার
অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইউনিয়নের একাধিক সদস্যের
স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে এসব তথ্য ওঠে আসে। স্থানীয় ৯ ইউপি সদস্য
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করা একটি লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান
আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অভিযোগ সূত্রে
জানাযায়, গত বছরের ৫আগষ্টের পর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মঈন চৌধুরী পালিয়ে
যায়। পরে ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ৯নং ওয়ার্ড সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান
আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপরই সে ইউনিয়ন
পরিষদকে অনিয়মের আখড়া বানায়। সদস্যদের মতামত ছাড়াই টিআর, কাবিখা, উন্নয়ন
তহবিল ও রাজস্ব খাতে নামে বেনামে প্রকল্প দিয়ে আত্মসাৎ করার কথা অভিযোগে
উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ভিজিডিসহ অসচ্ছলদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায়
সরকারি সুবিধার তালিকায় সচ্ছল ব্যাক্তিদের নাম বসানো করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের এসব অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করায় পলাশ মিয়ার নামে
তার পরিষদের এক সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।হুমকির বিষয়টি উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন পলাশ মিয়া।
পলাশ মিয়াসহ
একাধিক ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পরিষদের সিদ্ধান্ত
উপেক্ষা করে এককভাবে কাজ করেন। সরকারি প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি, ত্রাণ বিতরণে
অনিয়ম এবং সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহারে ব্যর্থতার অভিযোগও রয়েছে।
এ বিষয়ে
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে
ষড়যন্ত্র করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো চেয়ারম্যানই অনিয়মে জড়ানোর সুযোগ
পান না। আর যেহেতেু অভিযোগ হয়েছে, তদন্তে আমার কোন অনিয়ম পেলে মাথা পেতে
নেবো।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরীন আক্তার
বলেন, দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা
সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তে সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে
দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
