
বাংলাদেশ
নারী ফুটবল দল চলতি বছর ২৯ জুন - ৫ জুলাই মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাই
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো
এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন ঋতুপর্ণা-আফিদারা। নারী ফুটবল দলের
ঐতিহাসিক সাফল্যে ৭ জুলাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া ৫০
লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
থাইল্যান্ডে দু’টি প্রীতি ম্যাচ খেলে
আজ রাতে দেশে ফিরেছেন আফিদা-ঋতুপর্ণারা। সাড়ে তিন মাস পর আগামীকাল আফিদারা
প্রতিশ্রুত অর্থ পেতে যাচ্ছেন। কাল সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের
সভা কক্ষে নির্বাহী পরিচালকের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। আজ জাতীয় ক্রীড়া
পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান বাফুফেকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি
দিয়েছেন। সেখানে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ফেডারেশনের ৫ জন কর্মকর্তা এবং
এশিয়া কাপ বাছাই স্কোয়াডের সকল খেলোয়াড়, সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার জন্য
অনুরোধ করা হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব
নেয়ার মাস দু’য়েক পর ক্রীড়াঙ্গনে বড় সাফল্য এনেছিলেন নারী ফুটবলাররাই।
কাঠমান্ডুতে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
সাবিনাদের দেশে ফেরার দিনই ক্রীড়া উপদেষ্টা এক কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করেন।
প্রতিশ্রুত সেই অর্থ এক সপ্তাহের মধ্যেই পেয়ে যান সাবিনারা।
সাফ
চ্যাম্পিয়ন দলকে বাফুফের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় গত বছর ৯
নভেম্বর দেড় কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করেছিল। এক বছর হতে চললেও সেই টাকা
প্রদান করতে পারেনি বাফুফে। নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকরা এ নিয়ে
প্রশ্ন করলেও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান কখনো বলেন, 'এটা মিটিংয়ে আলেচনা
হয়েছে দেয়া হবে’, আবার কখনো বলেন, 'আজ এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।'
সাফ
চ্যাম্পিয়নের জন্য দেড় কোটি ঘোষণা করলেও এশিয়া কাপে খেলা নিশ্চিতের জন্য
কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি ফেডারেশন। মিয়ানমার থেকে রাতে ফেরার পর হাতিরঝিলে
একটি আলো ঝলমলে অভ্যর্থনা দিয়েছে শুধু। ফুটবলাররা আর্থিক কোনো কিছুই পাননি।
বাফুফে নির্বাচনে পদ-পদবীর জন্য ফেডারেশন কর্তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আর ফুটবল ও ফেডারেশন সংক্রান্ত কাজে অর্থ খরচ করেন
না অনেকেই।
সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রতিশ্রুত দেড় কোটি টাকা নির্বাহী
কমিটির ২১ জনের মধ্যে পদবী অনুযায়ী টাকা প্রদানের একটা আলোচনা হয়েছিল।
কমিটির অনেকের আবার ভিন্নমত, সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচনে এবার
তেমন কোনো খরচই হয়নি। নারীদের অর্থের সিংহভাগ তাদেরই দেয়া উচিত।
