
প্রথম
ম্যাচে লড়াই করে হেরে যাওয়া বসুন্ধরা কিংস এবার তেমন কোনো চ্যালেঞ্জই
জানাতে পারল না। দুই অর্ধে গোল হজম করে লেবাননের চ্যাম্পিয়ন আল-আনসারের
কাছে হারল মারিও গোমেসের দল।
কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ
স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছে কিংস।
আবুবাকার আকুকি প্রথমার্ধে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান
দ্বিগুণ করেন খালফাল্লাহ হিকেম। শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে ব্যবধান আরও
বাড়ান মোহাম্মাদ হেবাউস।
আল-সাইবের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে ‘বি’
গ্রুপে পথচলা শুরু করেছিল কিংস। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামী শুক্রবার
আল-কুয়েতের মুখোমুখি হবে মারিও গোমেসের দল। এই গ্রুপের সবগুলো ম্যাচই হচ্ছে
কুয়েতে।
রাকিব হোসেন, দোরিয়েলতন গোমেজ নাসিমেন্তো, নাবীব নেওয়াজ জীবনে
সাজানো কিংসের আক্রমণভাগ প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে তেমন কোনো পরীক্ষাই নিতে
পারেননি। গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ দ্বিতীয়ার্ধে একটি পেনাল্টি রুখে না
দিলে কিংসের হারের ব্যবধান বাড়ত আরও।
লেবাননের দলের বিপক্ষে শুরুতে
অবশ্য উজ্জীবিত ফুটবলই খেলছিল কিংস। পঞ্চদশ মিনিটে সুযোগও পায় তারা, কিন্তু
রাকিবের শট ডান পায়ের শট যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে।
৩২ তম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে আল-আনসার। তপু বর্মনকে কাটিয়ে মাজেদ ওসমানের নেওয়া শট অল্পের জন্য যায় পোস্টের বাইরে।
অবশেষে
৪৩তম মিনিটে কিংসের প্রতিরোধের দেয়ালে ধরে চিড়। ফ্রি কিকের পর দূরের
পোস্টে দূরূহ কোণ থেকে হেড করেছিলেন আবুবাকার। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে
গোলকিপার শ্রাবণ ও দোরিয়েলতন একই সাথে লাফিয়ে উঠেছিলেন, তাতে হয়ে যায় গড়বড়।
বল শ্রাবণের গ্লাভস ছুঁয়ে বল পেরিয়ে যায় গোললাইন।
দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য
ধরে রাখে আল-আনসার। ৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি শ্রাবণের দৃঢ়তায়।
আলি তেনইচের পেনাল্টি শট ঝাঁপিয়ে আটকান তিনি। এমানুয়েল আগবাজি বক্সে
মোহামাদ হেবাউসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়েছিল আল-আনসার।
৬৩তম মিনিটে
তেনইচ জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে হয়নি গোল। পরের মিনিটেই কিংসের
নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমানুয়েল সানডের শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৭৩তম স্পট কিক
থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হিকেম। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া আবুবাকারকে
পেছন থেকে আগবাজি ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ভিডিও
রিপ্লেতে অবশ্য দেখা যায় আগবাজির হালকা স্পর্শেই পড়ে যান আবুবাকার, একই
সময়ে ভারসাম্য হারিয়ে তার উপরে পড়েন তপু বর্মনও।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া
কিংস বাকি সময়েও ফিরে পায়নি ছন্দ। বরং দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে হেবাউসের
কোনাকুণি শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ালে দ্বিতীয় হার নিশ্চিত হয়ে যায়
তাদের।
