কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে পুকুরে পানি আনতে যাওয়ার পথে এক
নারী হামলার শিকার হয়েছেন। আহত ওই নারীর নাম শাহানারা বেগম (৪৮)। তিনি
দৌলতপুর ফরায়েজী বাড়ির ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায়
কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় মিজানুর রহমান নামে একজনকে একমাত্র বিবাদী করে
লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মিজানুর রহমান একই ইউনিয়নের দৌলতপুর
গ্রামের মৃত বশরত আলীর পুত্র। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে
ঘটনাটি ঘটে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শাহানারা বেগম জরুরি বিভাগের
ট্রলিতে শুয়ে আছেন। সদ্য জ্ঞান ফিরেছে তার। অসুস্থ কণ্ঠে তিনি জানান, আমি
পুকুরে পানি আনতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাশের বাড়ির মিজান মোটরসাইকেলে এসে অকথ্য
ভাষায় গালাগাল করে। প্রতিবাদ করলে সে আমার হাতে ছুরি দিয়ে পোছ দেয়, বুকে
ঘুষি মারে এবং তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল
ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।” তিনি আরো জানান, তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে
এলে হামলাকারী মিজান মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী
ফজিলত বেগম (৬০) জানান, “শাহানারা আমার ভাতিজা বউ। আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে
ছিলাম। দেখি মিজান মোটরসাইকেলে এসে প্রথমে গালাগাল করে, পরে ছুরি দিয়ে হাতে
পোছ দেয় ও মারধর শুরু করে। আমি চিৎকার দিলে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী করিম মিয়া বলেন, “মিজান শাহানারাকে লাথি ও ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।”
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা
কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক ইলিয়াছ জানান, আমি ছুটিতে
আছি। যেহেতু অভিযোগ হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।