চৌদ্দগ্রাম
প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে
একদল সন্ত্রাসীর হামলা, কুপিয়ে জখম ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা
১টার দিকে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাংপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়
স‚ত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এশার নামাজের পর বাংপাই
প‚র্বপাড়া এলাকায় মাদক সেবনের সময় তিনজনকে আটক করে গ্রামবাসী। আটক
ব্যক্তিরা হলেন; উপজেলার বারাইশ গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে ইয়াকুব আলী
প্রকাশ ইয়া এবং কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকার আরও দুইজন যুবক।
পরে তারা
গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে মাদক থেকে বিরত থাকার
অঙ্গীকার করে একটি ভিডিও বার্তা প্রদান করেন। ভিডিওতে তারা স্বীকার করেন
যে, বাংপাই গ্রামের রাসেল মিয়ার আহ্বানে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। পরে
শুক্রবার রাতেই স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ইয়াকুব আলী প্রকাশ ইয়া তার সহযোগীদের নিয়ে একটি
সিএনজিতে দেশীয় অস্ত্রসহ বাংপাই গ্রামে মহড়া দিতে দেখা যায়। দুপুর ১টার
দিকে তারা বাংপাই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জিহাদকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে
জখম করে এবং একই গ্রামের হারুনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ সময়
ইয়াকুব আলীর সঙ্গে থাকা সহযোগীরা হলেন, বারাইশ গ্রামের ইয়াকুব আলী প্রকাশ
ইয়া, কাজী আরিফ, মো: নাজমুল, মো: রাজু, মো. কিরণ, মো. সোহাগ, মো: পারভেজ ও
বাংপাই গ্রামের মো: বাসেল। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা
ব্যক্তি ছিল বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর গ্রামবাসী অভিযুক্ত রাসেল মিয়াকে
উপজেলার বারাইশ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বিষয়টি
বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল তদন্ত করছেন।
এ ঘটনায় বাংপাই গ্রামের জিহাদের মা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “অভিযোগ
পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
