চলতি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বাংলাদেশকে বৈদেশিক ঋণ ও
সুদ পরিশোধে মোট ৮ হাজার ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। এতে দেশের ঋণ
পরিশোধের চাপ পূর্বাবস্থার তুলনায় বেড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক
সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, চলতি দুই মাসে
বৈদেশিক ঋণের আসল পরিশোধ হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা, আর সুদ পরিশোধ হয়েছে
২ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে বৈদেশিক ঋণের আসল পরিশোধ
হয়েছিল ৪ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা, আর সুদ পরিশোধ হয়েছিল ২ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
একই
সময়ে নতুন বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি এসেছে মোট ৭৫ কোটি ডলার, যার
মধ্যে ঋণ প্রতিশ্রুতি ২৩ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং অনুদান
প্রতিশ্রুতি ১ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায়
অনেক বেশি। উল্লেখ্য, গত বছর এই সময়ে বৈদেশিক ঋণের কোনও নতুন প্রতিশ্রুতি
আসেনি, আর অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।
সরকারি
বিশ্লেষকদের মতে, গত বছর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বৈদেশিক ঋণের
কোনও নতুন প্রতিশ্রুতি আসেনি। চলতি অর্থবছরে ঋণ ছাড়ের পরিমাণও বৃদ্ধি
পেয়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে ঋণ ছাড় হয়েছিল ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার
ডলার, আর চলতি বছরের একই সময়ে ঋণ ছাড় হয়েছে ৭৪ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
তবে অনুদান ছাড়ের পরিমাণ কমে মাত্র ৯১ লাখ ৮০ হাজার ডলার হয়েছে।
ইআরডি
আরও জানিয়েছে, খাদ্য সহায়তা খাতের ক্ষেত্রে উভয় অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে
কোনও নতুন প্রতিশ্রুতি আসেনি। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, চলতি ঋণ ও সুদ
পরিশোধের উভয় চাপ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বাজেট
ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করছে।