কুমিল্লার
মনোহরগঞ্জ-লাকসাম সংযোগ সড়কটির দীর্ঘদিনের দুরবস্থার অবসান ঘটালেন
মনোহরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন। নিজস্ব অর্থায়নে
এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে সাধারণ মানুষের চলাচলের
পথকে আবারও সচল করে তোলেন তিনি।
বহুদিন ধরেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ইট ও
খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। ফলে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত
হচ্ছিল। বিশেষ করে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ছোট যানবাহন
চললেও প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছিল সাধারণ মানুষ।
অবস্থা এতটাই করুণ
ছিল যে, স্থানীয়রা একাধিকবার গণমাধ্যমে এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে সড়ক
সংস্কারের দাবি জানালেও কার্যত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তবে মানুষের
দুর্ভোগ দেখে চুপ থাকতে পারেননি আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন।
গত
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী তার অর্থায়নে ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে সড়কটির সংস্কার
কাজ পরিচালিত হয়। এতে করে সড়কটি আবারও চলাচলের উপযোগী হয়।
সড়ক সংস্কারের
এই উদ্যোগ নতুন নয়। এর আগেও তিনি ব্যক্তিগত অর্থে এলাকার অন্তত ১০-১২টি
গ্রামীণ সড়কের সংস্কার করেছেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, অসহায়
রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা, দরিদ্রদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ নানামুখী
সমাজসেবায় তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান।
স্থানীয় বাসিন্দা ওহিদ বলেন,
সড়কটির এমন বেহাল অবস্থায় কেউ এগিয়ে আসেনি। সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়ে
জসিম উদ্দিন ভাই নিজ উদ্যোগে সড়ক সংস্কারের কাজ হাতে নেন। এতে আমরা খুবই
উপকৃত হয়েছি।
মনোহরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর আলম
মিয়াজী জানান, আমাদের সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মনোহরগঞ্জের সার্বিক
উন্নয়নে কাজ করে আসছে। লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়কটি সংস্কার তারই একটি অংশ।
সংগঠনের
সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আমি সব সময় বিশ্বাস করি, মানুষের
জন্য কিছু করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। যতদিন সামর্থ্য থাকবে, ততদিন
মনোহরগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে যাব। এটি আমার সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেই
দেখি।
মনোহরগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের এমন মানবিক উদ্যোগে প্রশংসার জোয়ার
বইছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, সরকারি-বেসরকারি যৌথ প্রয়াসে এই ধরনের আরও
উদ্যোগ নিলে মনোহরগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।