কুমিল্লার
লালমাইয়ে কোনভাবেই ডাকাতি থামছেই না।একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় পুরো
উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এক রাতে তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। শনিবার (২৭
সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া ও শ্রীরামপুর
গ্রামে ডাকাতির এসব ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশের সাথে কথা বলে
জানা যায়, শনিবার রাত অনুমান ২ টায় উৎসবপদুয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী
লোকমান হোসেনের বাড়ির কলাপসিপল গেইটের তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন ডাকাত
ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা প্রবাসীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম কে অস্ত্রের মুখে
জিম্মি করে ও ছেলে মেহেদী হাসান কে বেঁধে রেখে স্টিলের আলমারিতে থাকা ৭ ভরি
স্বর্ণাংলকার ও নগদ ৭৫০০ টাকা লুট করে ।
পরে রাত আড়াইটায় ডাকাতরা একই গ্রামের সেলিম উল্যাহর বাড়ির কলাপসিপল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরে থাকা মালামাল নিয়ে যায়।
একই
ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য (সিভিলিয়ান) আবুল
খায়েরের বাড়ির কলাপসিপল গেইটের তালা ভেঙ্গে ডাকাতরা রাত সাড়ে ৩টায় ঘরে
প্রবেশ করে। ডাকাতরা আবুল খায়েরকে বেঁধে ও তার বিবাহিত মেয়ে খোরশিদা বেগম
কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে
যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মুখোশ পরা ডাকাত দলে ১৫/২০ জন
সদস্য ছিল। সবাই হাফপ্যান্ট ও ছেন্টু গেঞ্জি পরিহিত ছিল। তাদের হাতে দেশীয়
অস্ত্র ছিল। টানা দেড় ঘন্টা একই ইউনিয়নের তিনটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। হয়ত
একটি গ্রুপই ডাকাতরা এই কাজ করেছে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করা
হয়েছে। সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মুস্তাইন
বিল্লাহ ফেরদৌস স্যারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি
সহায়তা করা হচ্ছে।