বাংলাদেশ ও ভারতের পাল্টাপাল্টি অশুল্ক বাধার কারণে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
এ
বাধার জেরে দুই দেশের স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আসা-যাওয়া কমে যাওয়ায়
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এখন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ও
রপ্তানি করতে হচ্ছে। এ কারণে এখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি ও
রপ্তানি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা
গেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনার জন্য নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করা হলেও এখনো
কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,
অশুল্ক বাধা নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি ভারতে সচিব পর্যায়ে তিনবার চিঠি
দিয়েছেন, কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজেও ভারতের
বাণিজ্যমন্ত্রীকে আলোচনার জন্য চিঠি লিখেছেন।
সচিব বলেন, ভারতীয় পক্ষ কেন বৈঠকে আগ্রহী নয়, সে বিষয়েও কিছু বলছে না। অশুল্ক বাধার কারণে ব্যবসার খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
ভারতের
সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। চীনের পর
ভারতই বাংলাদেশের জন্য পণ্য ও কাঁচামালের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস।
চলতি
বছরের এপ্রিলের শুরুতে ভারত তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের জন্য
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা স্থগিত করলে বাণিজ্য-সংকটের সূচনা হয়। এর এক সপ্তাহ
পরই ঢাকা ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি স্থগিত করে দেয়। এরপর
মে মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, আসবাবসহ বেশ কিছু
পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে নয়াদিল্লি।
এদিকে এপ্রিল থেকে
পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ শুরুর পর কিছু স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি
৫০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। আগে কিছু বন্দর দিয়ে দিনে ৪০০ ট্রাক এলেও এখন তা
১৫০-এ নেমে এসেছে।