বাফুফের
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটুকে এবার নারী দলের কোচ করা হয়েছে।
এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ে তিনি হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্প্রতি তিনি পুরুষ অ-২৩ দলের হেড কোচ ছিলেন। যদিও সেই দলের মূল চাবিকাঠি
ছিল কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, আর সেটা বাস্তবায়ন করেছেন তার সহকারী হাসান
আল মামুন।
বাংলাদেশ সিনিয়র নারী দলের হেড কোচ বৃটিশ পিটার বাটলার। তিনি
অ-২০ দলকেও কোচিং করান। সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্টে হেড কোচ ছিলেন বাটলারের
সহকারী মাহবুবুর রহমান লিটু। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ক্যাম্প পুরোদমে শুরু
হওয়ায় লিটুর আগামী মাসে অ-১৭ দলের সঙ্গে যাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য বাফুফে
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিটুকে দায়িত্ব দিয়েছে।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিটু
মূলত টেকনিক্যাল কমিটির অধীনে। টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে
নির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান হিলটন বলেন, ‘নারী উইং থেকে টেকনিক্যাল
ডিরেক্টরকে চাহিদা জানিয়েছিল। নারী দলে কোচ প্রয়োজন এবং সংকট বিবেচনায়
সভাপতির সঙ্গে আলোচনাক্রমে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে অ-১৭ দলের দায়িত্বে দেয়া
হয়েছে। এতে আমাদের কোচিং কোর্স কার্যক্রমগুলো সমন্বয় করে নেয়া হবে।’
১৩-১৭
অক্টোবর এএফসি অ-১৭ নারী দলের বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পড়েছে এইচ
গ্রুপে। এই গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে। আগামী বছর
চীনে মূল পর্ব খেলতে হলে বাংলাদেশকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। বাংলাদেশ
২০১৭ ও ১৯ সালে টানা দুই বার এএফসি অ-১৬ নারী টুর্নামেন্টে এশিয়ার শীর্ষ
স্তরে খেলেছিল। ২০২৩ সালে সেই ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হয়েছে। টিটুর কোচিংয়ে
বাংলাদেশ আবার মূল পর্বে খেলতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
সাবেক
জাতীয় ফুটবলার সাইফুল বারী টিটুর দুই বছর আগে ফেডারেশনে পুনরায় চাকরি শুরু
হয়েছিল নারী দলের কোচ হিসেবেই। তার অধীনে বাংলাদেশ ২০২৩ সালে এশিয়ান গেমস
খেলে। নারী দলে কোচিং করানোর পর তাকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়
ফেডারেশন। দুই দফা চাকরি নবায়নের পর এবার কোনো কোচ দায়িত্ব নিতে রাজি না
হওয়ায় তার এএফসি প্রো লাইসেন্স থাকায় তাকে এএফসি অ-২৩ দলের হেড কোচ করা হয়।
ভিয়েতনামে তিনি কোচ হয়ে গেলেও অসুস্থতার কারণে হাসতাপালে চিকিৎসাধীন থাকায়
ডাগ আউটে দাঁড়াতেই পারেননি।