বৃষ্টি
বিঘ্নতায় থেমে থাকা জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি অবশেষে আজ
শুক্রবার থেকে সিলেটে ফিরলো রঙিন আবহ নিয়ে। আর ফিরেই পেলো রোমাঞ্চে ভরা এক
ম্যাচ। যেখানে সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেনের দারুণ ফিফটি হার মানলো রাজশাহীর
নাজমুল হোসেন শান্ত-হাবিবুর রহমান সোহানের ঝড়ের কাছে।
আজ সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের দাপুটে জয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী
বিভাগ। খুলনার করা ১৭১ রানের বড় সংগ্রহকেও তারা পরিণত করেছে মামুলি
টার্গেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার ইনিংস শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের
মতো। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩ রান, আর ততক্ষণে সাজঘরে তিন ব্যাটার! এমন
বিপর্যয়ে যখন হতাশা ঘনাচ্ছে, তখন ভরসা জুগিয়েছেন সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেন।
চতুর্থ
উইকেটে এই দুজন গড়লেন ৭২ বলে ১১৭ রানের বিশাল জুটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে
সৌম্য হাঁকান চারটি ছক্কা আর ছয়টি চার, খেলেন ৩৪ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।
তবে শান্তর বলেই তার বিদায় ঘটে। অন্যপ্রান্তে আফিফও পৌঁছান অর্ধশতকে—৪৫
বলে ৫০ রান করে শফিকুল ইসলামের বলে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে মেহেদী হাসান
মিরাজ ও নাহিদুল ইসলাম চেষ্টা করলেও বড় কোনো ঝড় তুলতে পারেননি। নির্ধারিত
২০ ওভারে খুলনার সংগ্রহ থামে ৭ উইকেটে ১৭১ রানে।
খুলনার ইনিংস শেষ হওয়ার
পর ম্যাচের আসল গল্প লেখা শুরু হয় রাজশাহীর ওপেনারদের ব্যাটে। শান্ত ও
সোহান যেন আগুনে ঝড় তুললেন। উদ্বোধনী জুটিতেই ১২.৪ ওভারে দলকে পৌঁছে দেন
১৪৮ রানে!
সোহান ছিলেন সবচেয়ে বিধ্বংসী। মাত্র ৪৫ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কার
ফোয়ারায় খেললেন ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। সেঞ্চুরির পথে মাত্র ৬ রান দূরে
থাকতে থামতে হয় তাকে। তবে তার ব্যাটিংয়েই জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অনেক
আগেই।
অপরপ্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্ত খেললেন স্বস্তিদায়ক অথচ কার্যকর
ইনিংস। ৩৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে। সাব্বির হোসেন ২
রানে ফিরলেও শান্ত দলকে ২৩ বল হাতে রেখেই জয় এনে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা: ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭১ (সৌম্য ৬৩, আফিফ ৫০)।
রাজশাহী: ১৭.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৭২ (সোহান ৯৪, শান্ত ৬৫*)
ফল: ৮ উইকেটে রাজশাহীর জয়।