ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে রিশাদ
বলে-ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে উড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে সিরিজ। ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করে তানজীদ অপরাজিত ছিলেন। তার সঙ্গে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। এর আগে ৩২ রানে আউট হন লিটন। তুসারা-মেন্ডিস ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান শেখ মেহেদী।
তানজীদের ফিফটি
শুরু থেকেই দারুণ আগ্রাসী তানজীদ। ছক্কার পর ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমিয়ে ফেলেন। লিটনের সঙ্গে ফিফটির জুটির পর নিজে তুলে নেন ফিফটি। মাত্র ২৭ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। সঙ্গী হৃদয়কে নিয়ে এগোচ্ছেন জয়ের পথে। দুজনের জুটিতে বাংলাদেশ শতরান পার হয় ১২.১ ওভারে।
দারুণ জুটির পর ফিরলেন লিটন
শূন্য রানে ইমনকে হারানোর পর শুরু হয়েছিল লিটন-তানজীদের জুটি। প্রতিরোধের সঙ্গে রান তোলার চ্যালেঞ্জও ছিল সামনে। দারুণভাবে সামলে নিয়ে এগোতে থাকেন দুজনে। ২৭ বলে দুজনের জুটির ফিফটি হয়। এরপরই বিদায় নেন লিটন। ২৬ বলে ৩২ রান করেন এই ব্যাটার। মেন্ডিসের বলে সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে।
প্রথম বলেই ইমনের উইকেট হারালো বাংলাদেশ
প্রথম বলেই আউট ইমন! তুষারার বল পায়ে লাগে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তানজীদের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউ নেন ইমন। কিন্তু লাভ হয়নি। ইমনের বিপক্ষে যায় সিদ্ধান্ত। ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী লিটন। দ্বিতীয় ওভারে লিটন বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে।
শানাকার ক্যামিওতে ১৩৩ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল শ্রীলঙ্কা
একশর পরও ধুঁকছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারে যেন মোড় ঘুরিয়ে দেন শানাকা। শরিফুলের এক ওভারে দুই ছক্কা দুই চারে ২২ রান নেন। তাতে শ্রীলঙ্কা থামে ১৩২ রানে। শানাকা ২৫ বলে ৩২ রান করেন। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন নিসাংকা। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেনে খ মেহেদী। ১টি করে উইকেট নেন রিফুল-মোস্তাফিজ ও শামীম।
শামীমের শিকার কামিন্দু
শানাকার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে হাত খুলে মারার চেষ্টা করেছেন কামিন্দু। তানজীমকে ছয়-চার হাঁকিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন। এরপরই শামীমের আঘাত। অফের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তানজীমের হাতে পড়েন। তার ব্যাটে কে আসে ১৫ বলে ২১ রান। ক্রিজে ানাকার সঙ্গী বন্দরসে। কামিন্দুর আউটের পরে শানাকার চারে ১৫.৪ ওভারে একশ করে শ্রীলঙ্কা।
চার ওভারে ১১ রান দিয়ে মেহেদীর ৪ উইকেট
একাদশে ফিরেই মেহেদীর চার উইকেট। পাওয়ার প্লের পর আসালাঙ্কা এবং নিসাঙ্কার উইকেট নেন মেহেদী। লঙ্কান ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে নিসাঙ্কা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তাকেও রুখে মেহেদী। ৪টি চারের মারে ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন নিসাঙ্কা। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার শানাকা-কামিন্দু।
পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ
একাদশে জায়গা পেয়েই দুর্দান্ত শেখ মেহেদী। শুরুতেই শ্রীলঙ্কান টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন। তার ঘূর্ণিতে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৪০ রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা।
দ্বিতীয় ওভারে মেহেদীর আঘাত
দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার শেখ মাহেদীর বলে স্লিপে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কুসল পেরেরা। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান তিনি।
প্রথম ওভারেই সাফল্য পেল বাংলাদেশ:
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ বলেই ১৪ রান তুলে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর অবশ্য জুটি ভেঙে দেন বাংলাদেশের স্ট্রাইক বোলার শরীফুল ইসলাম। তার ষষ্ঠ বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে স্কয়ারলেগ বাউন্ডারিতে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে তালুবন্দি হন কুসল মেন্ডিস। ৪ বল খেলে ১ চারে ৬ রান করেন তিনি।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ:
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। কলম্বোতে ইতোমধ্যে টস হয়েছে। টস জিতেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। তিনি অবশ্য ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ।
উভয় দলেই দুটি করে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আভিস্কা ফার্নান্দো ও চামিকা করুণারত্নের জায়গায় দলে এসেছেন দিনেশ চান্দিমাল ও কামিন্দু মেন্ডিস। অন্যদিকে বাংলাদেশ দলে নেই মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাদের জায়গায় এসেছেন মাহেদী হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি শ্রীলঙ্কা ও দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ জেতায় বর্তমানে ১-১ এ সমতা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ একাদশ:
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (ক্যাপ্টেন, উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ:
পথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল, চরিথ আসালঙ্কা (ক্যাপ্টেন), দাসুন শানাকা, কামিন্দু মেন্ডিস, মহেশ থেকশানা, জেফরি ভান্ডারসে, বিনুরা ফার্নান্দো ও নুয়ান থুসারা।