ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ে মামলা করায় হত্যার হুমকি
দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় গত ১১ জুলাই ব্রাহ্মণপাড়া থানায়
মোঃ খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ করে ৩জনকে
অজ্ঞাত করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে এবং স্থানীয়দের বক্তব্য
থেকে জানা যায়, থানায় অভিযোগ করার কারণে বিবাদীগণ ভোক্তভোগীসহ তার
সন্তানদের মারধর করেছে। বাড়ি ভাংচুর করে গাছপালা কেটে ফেলেছে। এছাড়াও
ভাইদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল সম্পত্তি নিয়ে। খোরশেদ আলমের অভিযোগ সে
দীর্ঘদিন তার ছেলে মেয়ে নিয়ে শহরে বসবাস করে আসছে। বর্তমানে সে বাড়িতে
যাওয়ায় তার ভাই ও ভাতিজারা তার সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করতে চায়। বাড়ী ঘর
ভাংচুর করে গাছা কেটে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। উক্ত
বিষয়ে এর আগেও থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলা করার কারণে বিবাদী পক্ষ
ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকিসহ নানা ক্ষতি ও হয়রানি করছে। উক্ত
বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় তিনি আবারো গত ১১ জুলাই আরো একটি অভিযোগ দায়ের
করেছেন।
অভিযুক্ত মো: আতিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে
পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানিয়েছেন আতিকের মোবাইল নাম্বারও তার
কাছে নেই। তবে তিনি এলাকায় আছেন কিনা তাও তিনি নিশ্চিত নন।
সিদলাই
ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: শহিদুল হক জানান, মোঃ খোরশেদ আলম ও তার
ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় স্থানীয়ভাবে সালিশ
বৈঠকে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু খোরশেদ আলমের ভাইয়েরা বিচার
মানে না। তারা খোরশেদ আলম সহ তার সন্তানদের মারধর করেছে। একই ইউনিয়নের ৯নং
ওয়ার্ড মেম্বার জাহ্ঙ্গাীর আলম বলেন, সিদলাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বিষয়টি
নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। এ সময় আমাদের ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের
মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত
থাকার কারণে একটি বিষয় উপলব্দি করলাম খোরশেদ আলমের ভাইয়েরা বিচার মানেনা।
কিছুদিন পূর্বেও খোরশেদ আলমসহ তার পরিবারের সদস্যদের মেরে আহত করেছে।
তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। তাদের গাছ কেটে ফেলেছে। আমরা স্থানীয়ভাবে বসে
আসামী পক্ষকে এক লাখ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছি। সালিশ বৈঠকে এক হাজার
টাকা জমা দিয়ে বিচার মেনে নিয়ে পরবর্তীতে বাকী টাকা দেয়না। তাতে বুঝা
যাচ্ছে তারা বিচার মানেনা।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশের উপ পরিদর্শক
মেহেদী হাসান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি
করে। ভাইদের মধ্যে কোন মিল নেই। উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
এরা কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। উক্ত ঘটনায় আমরা থানা থেকে চার্জসিট
দিয়েছি। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে আদালতে পৌছে যাবে।