বুধবার ৯ জুলাই ২০২৫
২৫ আষাঢ় ১৪৩২
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কারোপে গ্রহণযোগ্য সমাধানই কাম্য
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ২:০১ এএম |

ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কারোপে গ্রহণযোগ্য সমাধানই কাম্য
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কারোপের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বুধবার। এই ইস্যুতে বাংলাদেশ কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই তা জানাতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধরে রাখতে পারবে কি না, এ নিয়ে দেশের রপ্তানিকারকরা উদ্বেগে আছেন। তারা বলেছেন, গ্রহণযোগ্য সমাধান না হলে রপ্তানি খাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্প বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কারণ ৩৭ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা কার্যকর হলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে। গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বাড়তি ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন শুল্কহার আরোপ করে একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৬০টি দেশের ক্ষেত্রে। বাড়তি শুল্ক আরোপ কার্যকরের কথা ছিল ৯ এপ্রিল। তবে ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র বাড়তি শুল্কহার কার্যকরের ঘোষণা তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে। স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বুধবার। তার আগেই বাংলাদেশকে তার অবস্থান জানাতে হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে। যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক না কমায় তাহলে বর্তমানের চেয়ে বেশি হারে বাংলাদেশি পণ্য সে দেশের বাজারে প্রবেশ করাতে হবে। তখন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখন বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ বেশি রপ্তানি করে। বিপরীতে আমদানি করে কম। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ৬ বিলিয়ন ডলার। এই ঘাটতি কমিয়ে আনতে চায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সে জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহী দেশটি। 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তি করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই চুক্তির অগ্রগতি কতদূর, শেষ পর্যন্ত চুক্তি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সরকার চেষ্টা করছে একটা ভালো চুক্তি করার, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষিত থাকে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও লাভবান হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শর্তগুলো যদি মানা সম্ভব হয় তাহলে চুক্তি হবে। আলোচনা চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ৮ ও ৯ জুলাই ইউএসটিআরের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা এই ইস্যুতে আরও একটি বৈঠক করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর পাশাপাশি ভারত, ভিয়েতনাম ও জাপানে পাল্টা শুল্কের হার কমানোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উল্লিখিত দেশগুলো কী করছে তা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে। সেটা হলে দর-কষাকষি করতে সুবিধা হবে। 
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কারোপ বিষয়ে চলছে শেষ মুহূর্তের দর-কষাকষি। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করছে। আশা করছি, সরকার অর্থনীতির সক্ষমতা বিবেচনায় রেখে রপ্তানি খাতকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করবে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতার গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে এগোবে।













সর্বশেষ সংবাদ
সাবেক এমপি কালামের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
জুনায়েদের নির্বাক চোখ মাকে খুঁজে বেড়ায়!
বুড়িচং সীমান্ত দিয়ে ভারতে মানব পাচারের সময় বিজিবির হাতে আটক ৫
চাউলের অবৈধ মজুদের অভিযোগে কুমিল্লায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান
১২ দিন পর মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
চট্টগ্রাম থেকে বাস চুরি করে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলো ঢাকায়
টিপুকে শীঘ্রই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দেখতে পাবো: আসিফ আকবর
কুমিল্লা জেলা ইয়োগা এসোসিয়েশনের প্রথমসাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
কুমিল্লায় তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি
৮ আসামি কারাগারে, স্বীকারোক্তি দেননি বাচ্চু মেম্বার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২