খুচরা
ঔষধ বিক্রয়ে ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট বাধ্যতামূলক হলেও মানেন না
ব্যবসায়ীরা। ড্রাগ লাইসেন্স নেয়ার সময় ট্রেড লাইসেন্সের সাথে ফার্মাসিস্ট
সার্টিফিকেট জমা দিলেও বেশিরভাগ ওষধ দোকানে নেই ফার্মাসিস্ট। দোকানে ঔষধের
সঠিক বিতরণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য ফার্মাসিস্টদের প্রশিক্ষণ এবং লাইসেন্স
থাকা অপরিহার্য হলেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের
প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঔষধ দোকানগুলো চলছে কিশোর ও অপ্রশিক্ষিত লোকজন দিয়ে। এতে
রোগীরা পাচ্ছেন না সঠিক ঔষধ, প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেয়া হচ্ছে বিপজ্জনক
এন্টিবায়োটিক। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করলে
সর্বোচ্চ২০ হাজার জরিমানা বা লাইসেন্স বাতিলের আইন থাকলেও সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবিসায়ীরা। নিয়মবিধি না জানা
ক্রেতারা হচ্ছেন ভুক্তভোগী।
জানা গেছে, নূন্যতম মাধ্যমিক বা স্বীকৃত
সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ও
বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত
ত্রৈ-মাসিক ফার্মেসি সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অধীনে ফার্মেসি সার্টিফিকেট
রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসাবে নিবন্ধিত
হওয়ার যোগ্য হয় একজন প্রার্থী। ঔষধের সঠিক ডোজ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও
পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিয়ে রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করেন এই ফার্মেসি টেকনেশিয়ানরা। তিন ক্যাটাগরির মধ্যে সাধারণ ওষধ
বিতরকারীদের কমপক্ষে সি ক্যাটাগরির ফার্মেসি টেকনেশিয়ান কোর্স করতে হয়।
এ
বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাউসার মিয়া বলেন,
‘ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট ছাড়া ঔষধ বিতরণের বিষয়ে আমরা অবগত
রয়েছি। জনবল সংকটের কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হয়না’।
ঔষধ প্রশাসন
অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা বলেন, 'প্রত্যেক ড্রাগ
লাইন্সেন্সের বিপরীতে একজন ফার্মাসিস্ট থাকতে হয়। ফার্মেসি কাউন্সিলের
ফার্মাসিস্ট কোর্স অনেকদিন বন্ধ ছিল, জুলাই থেকে সেটা আবার চালু হচ্ছে।
আমরা যখন তাদের (ফার্মেসি) সাথে আলোচনা করি, অভিযানে যাই তখন আদেরকে বলি
ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। যদি কোনো কারণে কোনো ফার্মাসিস্ট পরিবর্তন হয়
অর্থাৎ নতুন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেয় তবে সেক্ষেত্রেও আমাদেরকে অবহিত করতে
হবে’।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রশিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায়
হাটবাজারে ছোট বড় অনেক ফার্মেসি আছে। ড্রাগ লাইসেন্স নেয়ার সময়ই
ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। ফার্মেসি গুলো পশিক্ষণ ছাড়া
ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলে সেটা আমরাও শুনেছি। এর বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর ও
ঔষধ প্রশাসন অভিযান করলে আমরা সহযোগীতা করবো’।