লাকসাম
থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আলোর দিশারী'র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত
মোহাম্মদ শামসুল করিম দুলালের গতকাল বুধবার (২ জুলাই) ছিলো ৮ম
মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে লাকসাম প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তাঁর কবর জিয়ারত
করেন।
ওইদিন বিকেলে উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের সিংজোড় গ্রামে তাঁর
পারিবারিক কবরস্থানে লাকসাম প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ জিয়ারতের উদ্দেশ্যে
ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মুনাজাত করেন।
এ সময় লাকসাম প্রেসক্লাবের সাবেক
সভাপতি ও ইত্তেফাক সংবাদদাতা মো. আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
ও কালের কন্ঠ প্রতিনিধি সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম প্রেসক্লাবের
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সময়ের দর্পণ'র নির্বাহী সম্পাদক ফারুক আল শারাহ্,
প্রেসক্লাবের সদস্য ও বি.কে.টিভি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ারুল আজিম,
প্রেসক্লাবের সদস্য শাহ নুরুল আলম, নাজমুল হাসান, জাহিদুল ইসলাম, জি.এম.এস
রুবেল, মো. আমজাদ হোসেন, মো. নাজমুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত
ছিলেন।
২০১৭ সালের এই দিনে আলোর দিশারী সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল করিম দুলাল মৃত্যুবরণ করেন।
লাকসাম
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস স্মৃতিচারণ করে বলেন, দুলাল
আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলো। তার দূরদর্শী চিন্তা ও মেধা ছিলো অত্যন্ত
প্রখর।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লাকসাম প্রেস ক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি ও কালের কন্ঠ প্রতিনিধি সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল বলেন, শামসুল করিম
দুলাল ছিলেন অত্যন্ত সাহসী। তিনি বলতেন, 'আমরা ভয়কেও ভয় পাই না'। তাঁর
সাহসী সাংবাদিকতার ফলে আজো মুক্তচিন্তা ও প্রতিবাদী মানুষের হৃদয়ে বেঁচে
আছে এবং বেঁচে থাকবেন শামসুল করিম দুলাল। তিনি তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা
করেন।
প্রয়াত মোহাম্মদ শামসুল করিম দুলালের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে লাকসাম
প্রেসক্লাবের পক্ষে শোক প্রকাশ করে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সময়ের
দর্পণ'র নির্বাহী সম্পাদক ফারুক আল শারাহ্ বলেন, তিনি সত্য প্রকাশে কখনো
আপোষ করতেন না। তার সাহসী পদক্ষেপগুলো অপরাধীদের মনে ভয় জাগাতো।আসহায়
মানুষের কল্যাণে তিনি ছিলেন নিবেদিত।
সাপ্তাহিক আলোর দিশারী পত্রিকাটি
বর্তমানে তাঁর সহধর্মিণী ফয়েজুন্নেছা সুমী সম্পাদনা করছেন। পত্রিকাটি এখনো
মোহাম্মদ শামসুল করিম দুলালের স্মৃতি বহন করে পাঠক হৃদয়ে স্থান করে আছে।