শাহীন আলম।।
কুমিল্লা
নগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
পাওয়া গেছে। মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে ওই ছাত্রীকে প্রায় দুই বছর
ধরে ধর্ষণ করা হয়। পরে ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে পরিবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া
হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে
থানায় মামলা দায়ের করার পর মামলায় অভিযুক্ত যুবক সোয়াদুর রহমান সিয়াম ও
তার মা তানিয়া আক্তার মনিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে কোতয়ালী মডেল
থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা
হয়।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিয়ামের বাসা কুমিল্লা নগরীর
চকবাজার এলাকার শাপলা মার্কেট সংলগ্ন মনি হাউজে। তার বাবার নাম মোস্তাফিজুর
রহমান। তাদের বাড়িতে প্রায় দুই বছর ভাড়া ছিলেন ওই ছাত্রী ও তার পরিবার।
বাসায় উঠার পর থেকে সিয়াম ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করেন। একপর্যায়ে তিনি
ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারন
করে ব্লাকমেইল করে পরে দুই বছরে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এছাড়াও ভিডিও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করে দেয়া হুমকী দিয়ে পরিবার থেকে প্রায় ২
লক্ষ ৮০ হাজার নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে
পড়লে বিষয়টি ওই ছাত্রীর মা সিয়ামের মা মনিকে জানালে তাদের শহর ছাড়ার হুমকি
দেয়।
ওই ছাত্রীর পরিবার জানায় বিষয়টি মীমাংমার কথা বলে গত বুধবার
দুপুরে ছাত্রীকে সিয়ামের নানীর বাড়িতে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাচ্চা
নষ্ট করার ঔষধ জোর করে খেতে বাধ্য করে এবং পেটে লাথি মেরে বাচ্চা নষ্ট করে।
পরে ওই ছাত্রীর মা তাকে উদ্ধার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সিয়াম, তার মা মনি ও বোন
মিমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার পুলিশ মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে।
কোতয়ালী
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, আসামির নিজবাড়ি
থেকে সিয়াম ও তার মাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান
চলছে।