কুমিল্লার
মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক হিন্দু নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগে
স্থানীয় বিএনপি নেতা ফজর আলীকে (৩৮) আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুধু ওই
পরিবারই নয়, স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও তীব্র আতঙ্ক ও
নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুরাদনগর
উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে।
পুলিশ ও
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফজর আলী বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের
পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে। ভুক্তভোগী নারী গত ১৫ দিন আগে তার স্বামীর
বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার
দিকে ফজর আলী ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। ওই নারী দরজা
খুলতে অস্বীকৃতি জানালে ফজর আলী জোরপূর্বক দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে
ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগীর চাচী শ্বরসতী বর্মন জানান, পাশের বাড়িতে তাদের
হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি পূজা চলছিল। পাশ থেকে শব্দ শুনে তারা সেখানে যান
এবং ভাঙা দরজা ও ধর্ষণের ঘটনা দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায়
ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সজীব বলেন, ফজর আলী গত ৫ই
আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে নিজেকে
বিএনপি নেতা দাবি করেন এবং এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন।
ভুক্তভোগীর
চাচা নকুল বর্মন এই ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার কথা
জানিয়েছেন এবং ঘটনার সঠিক বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করেছেন। তিনি উদ্বেগ
প্রকাশ করে বলেন, "আজকে আমার ভাতিজির ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ধর্ষণ করেছে।
কালকে আমার ঘরে আমার পরিবারকে ধর্ষণ করতে পারে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই,
আমাদের নিরাপত্তা চাই।"
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
জাহিদুর রহমান ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী
নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে আমাদের অভিযান
অব্যাহত আছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হবে। এই ঘটনায়
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে পুলিশ
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।