ইসরায়েল
ইরানের ওপর বিনা উসকানিতে গত ১৩ জুন সামরিক আক্রমণ শুরু করে। এই আক্রমণে
সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা এবং জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বসহ ১০০টিরও বেশি
লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়। এই আক্রমণ বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা আরও
বাড়িয়ে তোলে। আক্রমণের ফলে ইরানের সামরিক প্রধান, বিপ্লবী গার্ডের প্রধান
এবং পারমাণবিক কর্মসূচির বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হন। উল্লেখ্য, এই আক্রমণ
ঘটে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার ষষ্ঠ দফা শুরু হওয়ার মাত্র দুই
দিন আগে।
তারপর বিমান হামলা এবং গাড়ি বোমা হামলায় মোট ১৪ জন পারমাণবিক
বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তেহরান পারমাণবিক বিস্তার রোধ চুক্তির
(এনপিটি) অধীনে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য কাজ করে আসছিল।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণভাবে
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি নিয়েই কাজটি চলছিল। তবে, ইসরায়েল দীর্ঘদিন
ধরে ইরানে অস্ত্র তৈরির বিরোধিতা করে আসছে।
এ ছাড়া যেকোনো ধরনের
পারমাণবিক শক্তি বিস্তারের বিরোধিতা করে আসছে। তারা ইরানের পারমাণবিক
শক্তিকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে। যদিও ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিক থেকে
তারা পারমাণবিক অস্ত্র ধারণ করে আসছে এবং এনপিটির বাইরে রয়েছে। ইরান কখনো
আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অস্ত্রাগার ঘোষণা করেনি। এই সর্বশেষ আক্রমণটি বছরের
পর বছর ধরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রচেষ্টার পরে ঘটেছে। গোপন নাশকতা,
হত্যাকাণ্ড এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন- সবকিছুই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
নীরবভাবে দেখে এসেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার বিষয়ে আগে থেকেই
জানত। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আগে থেকেই অবহিত করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে এই হামলাগুলোকে ‘সফল’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি
বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযান সম্পর্কে সবকিছু জানত’। দীর্ঘদিন ধরে বৃহৎ
পরিসরে সংঘর্ষের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। ইসরায়েল এখন গাজায়
গণহত্যা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক আগ্রাসনের মধ্যে পশ্চিমা শক্তিগুলোর দেওয়া
দায়মুক্তি কাজে লাগিয়ে তাদের সহিংস অভিযান আরও তীব্রতর করছে।
সিরিয়ায়
শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের কৃতিত্ব দাবি করা ইসরায়েলের কর্মকর্তারা এখন
প্রকাশ্যে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ইরান সরকারকে
উৎখাত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইরানের সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস
করতে এবং তাদের নেতৃত্বকে উৎখাত করতে ইসরায়েলের পূর্ণ মার্কিন সামরিক
সহায়তা দরকার। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কৌশল হলো
বৃহত্তর সংঘাতকে উসকে দেওয়া, যা ওয়াশিংটনকে ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে
বাধ্য করবে।
এই অঞ্চলের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে ইরানের
অবস্থান ইসরায়েলের আধিপত্যবাদে বড় সমস্যা। ইসরায়েলের কৌশল এখনো ব্যর্থতায়
পরিণত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও মধ্যপ্রাচ্যে ব্যয়বহুল এবং অজেয়
যুদ্ধে টেনে আনতে পারে।
১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র
এবং ইসরায়েল ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে বড় হুমকি হিসেবে দেখে আসছে। ইরান
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্য এবং ইসরায়েলের আধিপত্যের জন্য সবচেয়ে বড়
প্রতিবন্ধকতা।
১৯৯০ সালে সাদ্দাম হোসেন যখন কুয়েত আক্রমণ করেন, তখন
আমেরিকা ইরান ও ইরাক উভয়কেই লক্ষ্য করে দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহণ করে।
একই সঙ্গে এই অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি সম্প্রসারণ করে।
১৯৯১ সালে
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে
আবির্ভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল উভয় ক্ষেত্রেই ইসরায়েলপন্থি
রাজনৈতিক শক্তিগুলো এটিকে আমেরিকার প্রাধান্য বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে
যায়। এতে ইসরায়েল আঞ্চলিক আধিপত্য আরও বৃদ্ধি পায়।
১৯৯৬ সালের মে মাসে
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তখন ক্লিনটন প্রশাসনের
মধ্যে ইসরায়েলপন্থি নীতিনির্ধারকরা উল্লেখযোগ্য প্রভাব অর্জন করছিলেন। সেই
বছরের শেষ নাগাদ, ‘অ্যা ক্লিন ব্রেক: অ্যা নিউ স্ট্র্যাটেজি ফর সিকিউরিং
দ্য রেলম’ শীর্ষক একটি কৌশলগত নীলনকশা প্রকাশিত হয়। প্রশ্নবিদ্ধ ‘রেলম’টি
ছিল যুক্তরাষ্ট্র নয়, বরং ইসরায়েলের।
ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার জেনারেল
ওয়েসলি ক্লার্ক ২০০৩ সালে প্রকাশ করেছিলেন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালের
হামলার পরপরই বুশ প্রশাসনের নব্য রক্ষণশীলরা ইসরায়েলের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যকে
পুনর্গঠনের জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা তৈরি করেছিল।
আফগানিস্তানে
তালেবানদের উৎখাতের পর পরিকল্পনা ছিল সাতটি দেশের ওপর আক্রমণ করা। সেগুলো
হলো- ইরাক, লেবানন, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া এবং ইরান। ‘দ্য
ইসরায়েল লবি অ্যান্ড ইউএস ফরেন পলিসি’ বইতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জন
মেয়ারশেইমার এবং স্টিফেন ওয়াল্ট যুক্তি দিয়েছিলেন, ইরাক আক্রমণের পেছনে
যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলপন্থি শক্তিগুলো কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল।
তারপর
থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল এই অঞ্চলে তাদের স্বার্থের সঙ্গে
সংগতিপূর্ণ নয় এমন যেকোনো সরকারকে দুর্বল বা অপসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এর মধ্যে ইরান সর্বদাই সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মুখে পড়েছে। দশকের পর দশক
ধরে নিষেধাজ্ঞা, বিচ্ছিন্নতা এবং পশ্চিমা অস্থিতিশীলতা অভিযান সত্ত্বেও
ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিপ্লবী ভিত্তি তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিরোধী
করে তোলে।
২০২৫ সালের এপ্রিলে ট্রাম্প ইরানকে এমন একটি চুক্তিতে সম্মত
হওয়ার জন্য ৬০ দিনের আলটিমেটাম দেন, যা কার্যকরভাবে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ
ক্ষমতা বন্ধ করে দিত। পাঁচ দফা আলোচনার পর, ষষ্ঠ দফা আলোচনা ১৫ জুন
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে, ট্রাম্প স্বীকার করেছেন এবং এর সঙ্গে জড়িত
ছিলেন। তাদের নির্ধারিত বৈঠকের দুই দিন আগে ইসরায়েলকে যুদ্ধ শুরু করতে এবং
পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার প্রচারণায় লিপ্ত
ছিলেন। ১৩ জুন ইসরায়েল বিশাল হামলা চালিয়ে ইরানের ২০ জনেরও বেশি ঊর্ধ্বতন
সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে। লক্ষ্য ছিল শুধু আলোচনা ভঙ্গ করা এবং ইরানের
পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করা নয়, বরং ইরানের সামরিক নেতৃত্ব এবং
পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের পঙ্গু করে দেওয়া। সেই সঙ্গে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন
আনা।
ইতিহাস আমাদের শেখায়, প্রথম যে গুলি চালায় সে জয়ী হয় না, বরং যে
শেষ গুলি করে সে জয়ী হয়। তবে, বর্তমান সংঘাতে, ইরান দ্রুত এবং জোরালোভাবে
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নতুন
কমান্ডার নিয়োগ করেন যারা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিব, হাইফা এবং অন্য
ইসরায়েল শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের বিশাল
আক্রমণ শুরু করে। ইসরায়েলের ইতিহাসে এই প্রতিক্রিয়ার পরিধি এবং মাত্রা
অভূতপূর্ব ছিল। হঠাৎ করে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থাকে অচল করে দেয়। লাখ লাখ
মানুষকে বোমা হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করে। আয়রন ডোম
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাপা পড়ে যায়। ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য
নেতানিয়াহুর আহ্বান, যা একসময় সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী ছিল, তা এখন
বিপর্যস্ত এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েল এক ভয়াবহ কৌশলগত
দ্বিধাগ্রস্ততার মধ্যে পড়েছে। মার্কিন সামরিক সাহায্য ছাড়া তারা ইরানের
পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে পারবে না। তারা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে
পারবে না। এমন একটি কৃতিত্ব যা কয়েক দশকের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমেরিকা
অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এভাবে নেতানিয়াহু উন্মত্তভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে
যুদ্ধে টেনে আনার চেষ্টা করছেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প গুরুতর বাধার
সম্মুখীন হচ্ছেন। তার মূল সমর্থক গোষ্ঠী ‘মাগা’ আন্দোলনের অনুসারীরা,
মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি সংঘাতের তীব্র বিরোধিতা করছে। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ তার
অভ্যন্তরীণ এজেন্ডাকে বিপন্ন করতে পারে এবং চীনের মতো ভূ-রাজনৈতিক
প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তা ছাড়া, এই অঞ্চলে
মার্কিন সম্পদ ঝুঁকিপূর্ণ। ৯০ হাজার মার্কিন সেনা (বেশির ভাগই যুদ্ধের
পরিবর্তে সহায়তা এবং সরবরাহমূলক ভূমিকায়) কয়েক ডজন ঘাঁটিতে অবস্থান করছে,
যার অনেকগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আক্রমণের মধ্যে রয়েছে।
এই
সংঘাত ইরানকে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী
তেলের ২১ শতাংশ প্রবাহিত হয়। উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলক্ষেত্রগুলোতে আক্রমণ
হতে পারে। এতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে।
ইসরায়েল নিজেদের
বাক্সবন্দি করে ফেলেছে। তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ভেঙে ফেলতে অথবা
শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে চায়। এর চেয়ে কম কিছু হলেই তাদের ভয়াবহ পরাজয় হবে।
তাই নেতানিয়াহু আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধে টানতে চেষ্টা করছেন।
কিন্তু এর ঝুঁকি এখন অনেক বেশি।
তিনটি প্রধান পরিস্থিতি উদ্ভূত হতে পারে-
১.
দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ: এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এবং ইরান ভয়াবহ সংঘাতে জড়িয়ে
পড়েছে, যা এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইরানের আঘাত আসার পর ইসরায়েলি
লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে থাকে। অবশেষে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা
হ্রাস করতে ব্যর্থ হতে থাকে এবং প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
পারমাণবিক কার্যক্রম টিকে থাকার সঙ্গে সঙ্গে এর আঞ্চলিক প্রভাব শুধু
পুনরুদ্ধারই হয় না বরং বৃদ্ধিও পায়।
২. মার্কিন হস্তক্ষেপ: আমেরিকা
যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে এবং তেহরানকে
একটি নতুন চুক্তিতে বাধ্য করতে চাইছে। কিন্তু এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে
অস্থিতিশীল করতে পারে। ইরানের আদর্শ এবং রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে তার কৌশলগত
সম্পর্কের কারণে এর লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা কম।
৩. আঞ্চলিক দাঙ্গা:
একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক যুদ্ধ একাধিক পক্ষকে জড়িয়ে ফেলে। বিদ্যমান
নিয়মকানুন ভেঙে ফেলে এবং বিশ্বব্যাপী সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়। কিছু বিশ্লেষক
সতর্ক করে বলেছেন এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
নেতানিয়াহু
যদি আমেরিকাকে যুদ্ধে টেনে আনতে ব্যর্থ হয় এবং ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা
ভেঙে ফেলতে বা শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে না পারে, তাহলে ইসরায়েলের প্রতিরোধ
ক্ষমতা স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। এই ধরনের আঘাত ইসরায়েলকে গাজায় তার
ধ্বংসাত্মক গণহত্যা বন্ধ করতে এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আঞ্চলিক
আধিপত্যের জন্য তার প্রচেষ্টা ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে।
ভ্লাদিমির
লেনিন একবার পর্যবেক্ষণ করেছিলেন: ‘এমন কিছু দশক আছে যেখানে কিছুই ঘটে না।
আবার এমন কিছু সপ্তাহ আছে যেখানে দশকের মতো ঘটনা ঘটে যায়।’ আগামী
সপ্তাহগুলোতে বিশ্ব হয়তো সেই ঐতিহাসিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে। পরবর্তী
দশকগুলো এই অঞ্চলকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে পারে।
লেখক: পরিচালক, সেন্টার ফর ইসলাম অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স (সিআইজিএ), ইস্তানবুল জাইম বিশ্ববিদ্যালয়, তুরস্ক।
মিডল ইস্ট আই থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: সানজিদ সকাল