রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার
চান্দিনায় ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষে
প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত যুবক মিশু আহমেদ (৩৪) এর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত
মিশু আহমেদ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের লেবাস গ্রামের
মফিজুর রহমান এর ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিক্সা চালক। এক ভাই এক বোনের মধ্যে
মিশু ছোট। তিনি ৬ বছরের এক কন্যা সন্তানের পিতা।
একমাত্র ভাইকে হারিয়ে
বাকরুদ্ধ বড় বোন মেহেরুন্নেছা মিতু। তিনি ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত
করে বলেন- আমার ভাইকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে আহত
করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে। যারা
আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি করছি।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)
জাবেদ-উল ইসলাম জানান- গত ১৩ জুন দোল্লাই-নবাবপুর বাজার সংলগ্ন লেবাস
গ্রামে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে
সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ও ইউপি সদস্য
খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখসহ ২৫জনকে আসামী করে ৩২৬ ধারায়
থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমরা ৩০২ ধারা যুক্ত করতে আদালতে আবেদন
করবো।
এর আগে, গত ১৩ জুন লেবাস গ্রামে থেমে থাকা মোটরসাইকেলকে পিছন
থেকে ধাক্কা দেয় কংক্রিটবাহী একটি ট্রাক্টর। ওই দুর্ঘটনায় একই ইউনিয়নের
কৈকরই গ্রামের মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী তেমন আহত না হলেও তাদের
মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসময় লেবাস গ্রামের ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য
ব্যক্তিবর্গ ট্রাক্টর চালককে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করে। সন্ধ্যায়
মোটরসাইকেল চালক ৭ হাজার টানা নিয়েও মোটরসাইকেলের সম্পূর্ণদাম ক্ষতিপূরণ
চাওয়ায় বাঁধা দেয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময় মোটরসাইকেল চালকের পক্ষ নিয়ে
কৈকরই গ্রামের লোকজন এসে সংঘর্ষে যুক্ত হয়। মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের
সংঘর্ষ রূপনেয় দুই গ্রামের সংঘাতে। ওই ঘটনায় লেবাস গ্রামের ৫জন আহত হয়। এর
মধ্যে ২জন গুরুতর আহত হলে তাদেরকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে মিশুর
মৃত্যু ঘটে।