শাহীন আলম ।
কুমিল্লার
দেবিদ্বারে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে
অপহরণের ঘটনায় আবদুর রহমান তাহের নামে এক হোমিও চিকিৎসককে গ্রেপ্তারে
করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে খলিলপুর বাজারের তার হোমিও চিকিৎসার দোকান থেকে
তাকে আটক করা হয়। আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধমে জেল হাজতে
পাঠানো হয়। তবে অপহরণের ছয় দিন পরও অপহৃত ওই নারীকে উদ্ধার করতে পারেনি
পুলিশ।
গ্রেপ্তার আবদুর রহমান (৩৫) উপজেলা ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুর
গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় সোমবার অপহৃত ওই নারীর স্বামী
মো. আবু হানিফ আবদুর রহমানসহ তিন জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ২/৩
জনের নামে দেবিদ্বার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারে
আবু হানিফ উল্লেখ করেন, আমার স্ত্রী মাঝে মধ্যে আবদুর রহমানের কাছে হোমিও
চিকিৎসার জন্য যেতেন। এই সুবাদ আবদুর রহমান প্রায়ই আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন
কু-প্রস্তাব দিতেন। এ ঘটনা আমার স্ত্রী আমাকে জানালে আমি তাকে দেবিদ্বারের
বাসা থেকে আমার গ্রাম বাড়ি মহেষপুরে নিয়ে আসি। কিন্তু এরপরও আবদুর রহমান
আমার স্ত্রীকে উত্যক্ত করে থাকেন এবং বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।
গত ১১ জুন সকাল ৭টার দিকে আবদুর রহমান আরও তিন চারজনকে সঙ্গে নিয়ে মহেষপুর
আমার বাড়ি থেকে আমার স্ত্রীকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে অপহরণ
করে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে আমরা আবদুর রহমানের বাড়িতে গেলে
আবদুর রহমান আমাদের জানায় আমি আমার স্ত্রীর আশা ছেড়ে দিয়ে যেন অন্যত্র
বিয়ে করে ফেলি। পরে আমাদেরকে তার বাড়ি থেকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। অপহৃতা
নারীর স্বামী আবু হানিফ বলেন, আমি প্রবাসে থাকি। আমার তিন ছেলে সন্তান
রয়েছে। আবদুন রহমান গ্রামে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে আমার স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে
অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রেখেছে। আমি আমার তিন সন্তান নিয়ে এখন
বিপদে আছি। সে আমার সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে, আমি তার কঠিন বিচার দাবি করছি।
অপহৃতা
ওই নারীর মা শাহীনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ওষুধ সেবন করিয়ে অচেতন করে
অপহরণ করা হয়েছে। সে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। আমার মেয়েকে কোথায় লুকিয়ে
রেখেছে এখন কোন সন্ধান পায়নি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ভুক্তভোগীর ওই নারীর স্বামী থানায় একটি
মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযুক্ত আবদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে
পাঠিয়েছি। আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ওই নারীর সর্বশেষ লোকেশন শনাক্ত
করতে পেরেছি। খুব শিঘ্রই অপহৃতা ওই নারীকে উদ্ধার করা হবে।