রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার
চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর-কাদুটি আঞ্চলিক সড়কে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের
সংঘর্ষের পর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামে। এতে
ছুরিকাঘাতে ৩জনসহ অন্তত ৬জন আহত হয়। যৌথ বাহিনীর অভিযানে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ২জনকে আটক করে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ও
ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখসহ ২৫জনকে আসামী করে
থানায় মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাত সোয়া ৯টায় চান্দিনা
উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে
আহতরা হলো- উপজেলার লেবাস গ্রামের খলিলুর রহমান এর ছেলে মো. শাকিব (২০),
মো. শাকিল (২২) একই গ্রামের মফিজুর রহমান এর ছেলে বিশু (৩৫) এবং মারধরে
আহতরা হলো- ওয়ার্ড মেম্বার খলিলুর রহমান, মুজাহের মিয়ার ছেলে ইয়াছিন (২২)সহ
আরও একজন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়- শুক্রবার দুপুরে উপজেলার
জরুন্ডা ব্রিকস ফিল্ড থেকে ইটের কংক্রিট নিয়ে যাওয়ার পথে নবাবপুর-কাদুটি
আঞ্চলিক সড়কের লেবাস এলাকায় দাড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়
ট্রাক্টরটি। এতে মোটরসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং চালক ছানাউল্লাহসহ আরোহী
বশির কিছুটা আহত হয়। ওই ঘটনায় লেবাস গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বারসহ স্থানীয়
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দুই পক্ষের সমঝোতা করে ট্রাক্টর চালককে মোটরসাইকেলের
ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করে। সন্ধ্যায় ট্রাক্টর চালক
জরিমানার টাকা পরিশোধ করলেও মোটরসাইকেল চালক ট্রাক্টর আটকিয়ে তার গ্রামের
(একই ইউনিয়নের কৈকরই) লোকজন খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনে এবং তারা ওই
মোটরসাকেলের পুরো দাম ক্ষতিপূরণ বাবদ দাবী করে।
এদিকে যেহেতু ঘটনাটি
লেবাস গ্রামে ঘটেছে এবং লেবাস গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেটি সমাধান
করেছে তারপরও কৈকরই গ্রামের লোকজনের বারাবারি মেনে নিতে পারেনি লেবাস
গ্রামের লোকজন। রাত সোয়া ৯টায় দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
এতে কৈকরই গ্রামের লোকজনের হাতে আহত হয় লেবাস গ্রামের লোকজন। তাদের মধ্যে
গুরুতর অবস্থায় ২জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খবর
পেয়ে সেনাবাহিনীসহ চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ
করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ২জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো- কৈকরই গ্রামের
রফিকুল ইসলাম এর ছেলে বাবুল হোসেন (৪০) ও একই গ্রামের মৃত ইয়াছিন এর ছেলে
মো. সোহেল (৩২)।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদল উল ইসলাম
বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে একটি ভয়বহ পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত ২জনকে
আটক করি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী খলিলুর রহমান। ঘটনার
সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।