কুমিল্লার
দেবিদ্বারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে বরযাত্রীর খাবার চুরি করা নিয়ে
তুলকালাম কান্ড দেখা দিয়েছে। এক পর্যায়ে খাবারের স্বল্পতা দেখে বরযাত্রী
সঙ্গে আসা অন্তত ৩০ জন অতিথি ফিরে যায়। এ নিয়ে বরপক্ষ ও কোন পক্ষের মধ্যে
হুলুস্থুল কান্ড দেখা দিলে পরবর্তীতে ওই কমিউনিটি সেন্টারের কয়েকটি কক্ষে
তল্লাশী চালিয়ে চুরি হওয়া বরযাত্রী খাবার উদ্ধার করা হলে পরবর্তীতে দুই
পক্ষের মুরুব্বীদের সমঝোতায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টার এই ঘটনা ঘটে।
জানা
গেছে, দেবিদ্বার পৌর এলাকার মেজবান কমিউনিটি সেন্টারে গুনাইঘর উত্তর
ইউনিয়নের রেহান উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শাহ জালালের সঙ্গে মুরাদনগর উপজেলার
মাস্টার পাড়ার গ্রামের শের আলীর মেয়ে জান্নাতের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই
অনুষ্ঠানে বর পক্ষের সঙ্গে প্রায় ২০০ জন অতিথি আসেন। এক পর্যায়ে ১৭০ জন
বরযাত্রী খাবার খেলেও শেষের দিকে ৩০ জন অতিথির খাবার স্বল্পতা দেখা দেয়। এ
নিয়ে বরপক্ষ ও কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে বরযাত্রী
ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে না করেই চলে যেতে চান।
এদিকে খাবার স্বল্পতার কারণ
খুঁজতে গিয়ে কনে পক্ষের লোকজন ওই কমিউনিটি সেন্টারের কয়েকটি পরিত্যক্ত
কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে বিভিন্ন পাতিল ও বলে ঢাকনা দেওয়া অবস্থায় বরযাত্রীর
জন্য রান্না করা খাবার দেখতে পেয়ে সবাইকে জানালে কমিউনিটি সেন্টারের মালিক
মির্জা তাজুল ইসলাম বিষয়টি জানান।
বরযাত্রীর সঙ্গে আসা নাঈম বিন মুসা
বলেন, বরযাত্রী সঙ্গে আসা অতিথিরা প্রথম দিকে খাবার পেলেও শেষের দিকে এসে
অন্তত ৩০ জন খাবার স্বল্পতা দেখা দেয় । এ নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বাক
বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কমিউনিটি সেন্টারের পরিত্যক্ত কক্ষে থেকে বরযাত্রী
জন্য রান্না করা খাবার উদ্ধার করা হয়।
বরের ভাই কামরুল ইসলাম বলেন,
কমিউনিটি সেন্টারে যারা সাইদারি করেছেন তারাই খাবার চুরি করে লুকিয়ে রাখে
এক পর্যায়ে যখন খাবার পাওয়া যায় তখন দুই পক্ষের সমল তার মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন
হয়।
কনের বাবা শের আলী বলেন, আমরা কমিউনিটি সেন্টারের মালিক পক্ষের
সঙ্গে ২০০ জন অতিথির খাবার অর্ডার করি। কিন্তু তারা ১৭০ জনের খাবার দিয়ে
বাকি ৩০ জনের খাবার চুরি করেন। খাবার চুরি করে তারা আমাদের মান সম্মান নষ্ট
করেছে।
এ বিষয়ে মেজবান কমিউনিটি সেন্টারের মালিক মির্জা তাজুল ইসলাম
বলেন, যারা এই কাজে জড়িত তাদের সবাইকে সেন্টার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এগুলো
বয় ও আয়ারা করে থাকতে পারে৷ তবে আমরা দেখেনি। তবে আমাদের কমিউনিটি সেন্টার
কোন পরিত্যাক্ত কক্ষ নাই।