নানা
জায়গায় শ্রমিকদের উপর চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন অভিযোগ বহুজনে করছেন। যদি কোথাও
অন্যায় হয়, অন্যায়কারীকে খুঁজে বের করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আমার দলের
পক্ষ থেকে এবং প্রত্যেকটি দলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে
অন্যায়কারী কোন দলের সদস্য নয়। অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমি
নিজেও স্পষ্টভাবে বলেছি, আমার অনুগত সন্তানও যদি অন্যায়ের সাথে জড়িত হয়
তাকে পুলিশে দেন। আমার প্রশ্ন, এ সমস্ত অন্যায় থেকে সমাজকে বিরত রাখার
দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এখন সমাজে প্রচলিত হচ্ছে এবং মানুষ বলাবলি
করছে এখন যত অন্যায় হচ্ছে তার উস্কানি দাতা, সহযোগিতাকারী প্রশাসনের লোকজন।
তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো আপনারা যদি এসব অন্যায়ের সাথে জড়িত না হোন,
তাহলে প্রমাণ করুন অন্যায়কারীদের আইনের আওতায় এনে। এজন্য যত সহযোগিতার
প্রয়োজন শতভাগ সহযোগিতা করতে রাজি আছি।
বৃহস্পতিবার পহেলা মে
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর শ্রমিক
দলের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা হাজী আমিন-অর রশিদ ইয়াসিন এসব কথা বলেন।
হাজী ইয়াছিন বলেন,
যতদিন না পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে কোন গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে না আসবে ততদিন
পর্যন্ত এ অন্যায় চাঁদাবাজি থেকে আমরা মুক্তি পাবো না। গত ১৭ বছর যেভাবে
অন্যায় হয়েছে, এখন থেকে দেড়শ বছর আগে একইভাবে অন্যায় হয়েছিল কৃষক ও
শ্রমিকদের সাথে। গত ১৭ বছর রাস্তার ফকির থেকে শুরু করে এমন কোন লোক ছিল না
যার উপরে অন্যায় করা হয় নাই। অন্যায় ভাবে হত্যা, গুম ও খুন করা হয়েছে
মানুষকে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন।
কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক হাজী তাজুল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা
বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির
সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ
নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজিউর রহমান
রাজীব, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন, কুমিল্লা
মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক
খন্দকার কামরুল হাসান টিপু।