ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উঠানে ধান শুকানো নিয়ে তর্কের জেরে সুজন ফকির (৩০)
নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ আপন চাচাতো ভাই শাওন ফকির (২২) এর
বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিসার
গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন ফকির জাজিসার গ্রামের ফকির বাড়ির খোকন
ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত শাওন ফকির নিহতের আপন চাচা লিটন ফকিরের ছেলে। পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের
পিতা খোকন ফকির জানান, তার ভাতিজা ঘাতক শাওন ফকির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
এলাকার সকল মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার দহরম-মহরম। বাড়ির সম্মান রক্ষায়
প্রায় ছয় মাস আগে তাকে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়া হয়। সেই বাধা দেয়াকে কেন্দ্র
করে আমি এবং আমার পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলো শাওন। মাদক ব্যবসার জেরে সে
জেলও খেটেছে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে আরও বেপরোয় হয়ে উঠে। সে মাদক ব্যবসার
কারনে জেল খেটেছে কিন্তু অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ধারনা দিয়েছিলো আমরা
তাকে ধরিয়ে দিয়েছি। প্রায় সময়ই সে অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করতো। মনের
জেদ মেটাতে প্রায় তিন মাস আগে সুজনকে গুম করে হত্যা চেস্টা চালিয়েছিলো। সে
যাত্রায় সুজন বেঁচে গেলেও তার সাথে থাকা প্রায় তিনলাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়
শাওন। এনিয়ে কসবা থানায় মামলাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উঠানে ধান শুকাতে
দেয়ার সময় সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলো আমাদের। আমার ছেলে সুজন
জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তর্কে জড়ায় দুজন। সুজন উত্তেজিত হলে তার ভাই ও মা
আমার ছেলেকে ঝাপটে ধরে। এসময় শাওন তার হাতে থাকা বড় একটি ছুটি দিয়ে সুজনের
বুকে আঘাত করে। ছুরিকাঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুজন। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লায়
স্থানান্তার করেন। এম্ব্যুলেন্সে করে কুমিল্লা নেয়ার পথে মারা যায় সুজন।
সুজন কসবা বাজারে ডিলারশীপ ব্যবসা করতো। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ
আবদুল কাদের জানান, ধান শুকনোকে কেন্দ্র করে তর্কের জেরে শাওন ফকিরের
ছুরিকাঘাতে তারই আপন চাচাতো ভাই সুজন ফকির মারা যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়না
তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের
চেষ্টা চলছে।