মাসুদ পারভেজ।।
পুরোনো
হিসেব মিটিয়ে নতুন বছরে নতুন খাতায় হিসেব রাখা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
খুচরা, পাইকার ও আড়তদার সব শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা লাল মলাটের হালখাতায় হিসেব
লিপিবদ্ধের মাধ্যমে শুরু করেন নতুন বছর। ১৪ এপ্রিল সোমবার বাংলা বর্ষের
প্রথমদিন সকল ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণীপেশার মানুষ বর্ষবরণ উদযাপনের সাথে
ব্যবসায়ীরা করেন হালখাতা উৎসব। দোকানে দোকানে লিপিবদ্ধ হয় নতুন হিসেব।
ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে বিতরণ হয় মিষ্টিসহ নানা ধরনের খাবার। দৃঢ় হয়
ব্যবসায়ীক সম্পর্ক। তবে বর্ষবরণের দ্বিতীয়দিন দেখা গেল হালখাতার কিছু
ভিন্নতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা বর্ষবরণের একদিন পর মঙ্গলবার
দোকানে দোকানে নতুন বছরের হালখাতা উৎসব করেন। এদিন কুমিল্লার চকবাজার ও
রাজগঞ্জ থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের
ব্যবসায়ীরা তারা তাদের দোকারকে সাজিয়েছেন নানা রঙের ফুল ও কাগজ দিয়ে।
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ঢাকঢোল পিটিয়ে দেয়া হয় পূজা অর্চনা। এর আগে নতুন খাতায়
হিসেব-নিকেষ শুরু করার আগে নতুন বছরের প্রথম দিনে লাল মলাটের খাতাটি পূজা
করতে ব্যবসায়ীরা ভিড় করেন মন্দিরে মন্দিরে। খাতার প্রথম পাতায় সিঁদুর দিয়ে
স্বস্তিক চিহ্ব এঁকে দেন পুরোহিতরা।
মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর
কালি মন্দিরের সামনে দেখা যায় হালখাতা নিয়ে ব্যবসায়ীরা ভিড় করতে। এ ভিড়
ছড়িয়ে পড়ে সড়ক পর্যন্ত। সারিবদ্ধ ভাবে ব্যবসায়ীরা এক এক করে হালখাতা নিয়ে
মন্দিরে প্রবেশ করছেন পূজা দেয়ার উদ্দেশ্যে। এ দৃশ্য অন্যান্য মন্দিরেও
দেখা গেছে। পূজা শেষে ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানে গিয়ে বাকী আনুষ্ঠানিকতা
সেরে হালখাতায় পুরোনো হিসেব মিটিয়ে নতুন খাতায় নতুন হিসেব লিপিবদ্ধ করেন।
থাকে দিনব্যাপী নানা আয়োজন। ক্রেতাদের মাঝে বিতরন করা হয় মিষ্টি।
কুমিল্লা
চকবাজারের ভৌমিক বার্দাসের ব্যবসায়ী কৌশিক বলেন, ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণ উদযাপন
করা হলেও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পঞ্জিকা অনুষ্ঠানে হালখানা লিপিবদ্ধ
উৎসব পালন করা হচ্ছে। গণেষ পূজা এবং নানা রঙের ফুল, কাগজে সাজানো হয় ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান। সকাল সাড়ে ৮টায় ধর্মীয় আয়োজন শেষে শুরু করেন হালখাতা উৎসব।
আশপাশের ব্যসায়ী ও ক্রেতাদের মাঝে মিষ্টি ও খাবার বিতরন করেন। লক্ষ্য ছিল
বছরটি যেন মঙ্গল জনক হয়।