শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
২৮ আষাঢ় ১৪৩২
এসএসসির ফল বিশ্লেষণ -
কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে কেনো ধ্বস নামলো?
জহির শান্ত, কুমিল্লা
প্রকাশ: শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ১:৩৮ এএম আপডেট: ১২.০৭.২০২৫ ২:৫১ এএম |


* মানবিকে ফেল অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী
* ইংরেজি-গণিতেও হতাশার চিত্র
* পিছিয়ে পড়ছে গ্রামের স্কুলগুলো 

 কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে কেনো ধ্বস নামলো?এক বছরের ব্যবধানে হঠাৎ করেই ধস নেমেছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের এসএসসির ফলাফলে। ২০২৪ সালে যে বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ; এক বছরের ব্যবধানে তা নেমে এসেছে ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশে। পাশের হারের পাশাপাশি একদিকে যেমন কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা; সেই সাথে কমেছে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানও। এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের এমন চিত্র সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৭ সালে। সে বছর বোর্ডে পাশের হার ছিল ৫৯.০৩ শতাংশ। এরপর আর কোন বছরই এসএসসিতে পাশের হার ৭৮ শতাংশের নিচে নামেনি কুমিল্লা বোর্ডে। গত বছর কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ছিলো ৭৯.২৩ শতাংশ, তার আগের বছর ২০২৩ সালে পাশের হার ছিলো ৭৮.৪২ শতাংশ ২০২২ সালে ৯১.২৮ শতাংশ এবং ২০২১ সালে পাশের হার ছিলো ৯৬.২৭ শতাংশ।
গেলো কয়েক বছর ধরে এসএসসির ফলাফলে ‘বিস্ময় জাগানো’ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এ বছর কেনো পিছিয়ে পড়লো? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। এর মধ্যে আবশ্যিক বিষয় গণিত ও ইংরেজিতে খারাপ করা, মানবিক বিভাগে ফলাফল বিপর্যয়সহ শহরে স্কুলগুলোর তুলনায় গ্রামের স্কুলগুলোতে ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
পাশাপাশি 'বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রগুলোতে আভ্যন্তরীণ প্রভাব বিস্তারের যে চিত্র দেখা যেতো, তা এবার লক্ষ্য করা যায়নি। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের এই সময়টাতে শিক্ষকদের মাঝেও নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ছিল না। এর কারণে ফলাফলে কিছুটা বিপর্যয় নেমে আসে'- বলে জানিয়েছেন বোর্ডের সাবেক এক কর্মকর্তা।
১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত হয় এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৬৩.৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯০২ জন পরীক্ষার্থী। গেল বছরের সঙ্গে ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবারের এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। গেল বছরের তুলনায় এবার এ বোর্ডের পাশের হার কমেছে ১৫.৬৩ শতাংশ। একই সঙ্গে জিপিএ-৫ কমেছে ২ হাজার ১৯৮টি। বোর্ডে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাত্র ২২ টি। অপরদিকে একজনও পাস করেনি অর্থাৎ পাসের হার শূন্য এমন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে একটি। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ইসলামপুর বিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন। এদিকে ফলপ্রকাশের দিনেই মধ্যে এসএসসিতে কৃতকার্য হতে না পেরে জেলার বুড়িচং ও দাউদকান্দিতে দুই শিক্ষার্থী গলায় ওড়না পিছিয়ে আত্মহত্যাও করেছে। সব মিলিয়ে কুমিল্লা বোর্ডের এবারের ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। 
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ফলাফল বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পেয়েছি- এবছর গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছেন। তার চেয়েও বেশি খারাপ করেছেন মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই দুই বিপর্যয়ের কারণে ফলাফলে প্রভাব পড়েছে। এ বছর আবশ্যিক বিষয় গণিতে ফেল করেছে ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ইংরেজিতে ফেল করেছে ১১ দশমিক ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী। 
অপরদিকে আরো ভয়াবহ অবস্থা দেখা গেছে মানবিক বিভাগের ফলাফলে। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবছর এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে মাত্র ৪৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। একই ধারা লক্ষ্য করা গেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও। পুরো বোর্ডের ৬ জেলায় ৯ হাজার ৯০২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১৪৩ জন। এর মধ্যে মাত্র ৫ জন ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৮ জন। 
গণিতে বিপর্যয়ের প্রশ্নে কুমিল্লার একটি স্কুলের গণিতের একজন শিক্ষক বলেন, ‘এবারের গণিত পরীক্ষার প্রশ্নটি শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কঠিন ছিলো। পাঠ্য থেকে প্রশ্ন করা হলেও এটিকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে করা হয়েছে। এসব প্রশ্নের উত্তর বের করতে অনেক শিক্ষককেও বেগ পেতে হয়েছে। যার কারণে ব্যাপক প্রস্তুতি না থাকা শিক্ষার্থীরা কাঙ্খিত ফলাফল করতে পারেনি।’
ফল প্রকাশের দিন কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা মানবিকে পড়েন তারা দুর্বল- এমন ভাবা হয়। বিষয়টি ঠিক এরকম নয়। যারা ভালো পড়ে তারা সব বিষয়েই ভালো ফলাফল করেন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও মানবিক বিষয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলাদাভাবে সচেতন হতে হবে। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রতি আলাদা মনোযোগী হতে হবে।’
শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুল গুলো কেন পিছিয়ে যাচ্ছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাফিজ উদ্দিন বলেন, 'ইদানিং শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীদের মনযোগ অনেকটাই কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার অভিভাবকরাও অসচেতন। পাশাপাশি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদেরকে ফরম পূরণ করানোর তথ্য পাওয়া যায়। ফলে রেজাল্টের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে; শহরের তুলনায় গ্রামের স্কুলগুলো পিছিয়ে যায়। গ্রামের স্কুলগুলোয় শিক্ষকদের গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনযোগী করে তুলতে হবে। না হলে এ ব্যবধান সহজে ঘুচবে না।’
তবে এবারের ফলাফলকে ‘স্বাভাবিক’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরিন। কুমিল্লার কাগজকে তিনিবলেন, 'এবারের ফলাফলকে একেবারে ‘খারাপ’ বলে তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই। আপনারা দেখেছেন অন্যান্য বছর পরীক্ষাগুলো কিভাবে হয়েছে। কিন্তু এবার আর সেই সুযোগ ছিলো না। উর্ধ্বতন মহল থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে শিক্ষার সত্যিকারের চিত্র যেনো উঠে আসে। এবারের ফলাফলেও সেই চিত্র উঠে এসেছে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলাম। পরীক্ষারও প্রভাবমুক্তভাবে নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউকে ওভার মার্কিং দেওয়া হয়নি, আবার নাম্বার কমিয়ে দিয়ে কারো প্রতি অবিচারও করা হয়নি।’
ফল প্রকাশের দিন সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, 'মানবিক বিষয়ে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৫৬ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মাত্র ২৫ হাজার ৪৮০ জন পাশ করেছে। মানবিকে ফলাফল ধ্বসের প্রভাব পড়েছে মূল ফলাফলেও। মানরবিকে ভালো ছাত্র পড়ে নাকি খারাপ ছাত্র পড়ে- সেটা আমলে নেয়ার বিষয় নয় বরং এই বিভাগে যারাই পড়ে তারা ভালো পড়ছে না কেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এবিষয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তদন্ত করে দেখবো। '
'আর গতবছরের তুলনায় এবছর ফল খারাপ হওয়ার আরো একটি কারণ হচ্ছে গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের খারাপ করা। এ দুটি বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের বিকল্প নেই। তাই, দুটি বিষয়ে শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে অধিক শিক্ষার্থী ফেল করেছে এবং একটিতে সবাই ফেল করেছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।' যোগ করেন তিনি।

দুই শিক্ষার্থীর আত্মহনন:
এদিকে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য হওয়ার খবর শুনে কুমিল্লার বুড়িচং ও দাউদকান্দিতে দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। বুড়িচংয়ে মারা যাওয়া প্রভা আক্তার (১৭) উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের কাতার প্রবাসী মোস্তফা কামালের মেয়ে এবং উপজেলার ভরাসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য হওয়ার খবর পেয়ে বেলা আড়াইটার দিকে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় সে। 
বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভির হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
অপরদিকে, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার খবর শুনে শ্রাবন্তি সরকার (১৭) নামে আরেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শ্রাবন্তি সরকার দাউদকান্দি পৌরসভার উত্তর সতানন্দি গ্রামের রতন সরকারের মেয়ে এবং দাউদকান্দি আর্দশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, দুপুরে ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য হওয়ার খবর পেয়ে বিকেলে ফ্যানের সাথে ওড়না বিছিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিকভাবে এটা আত্মহত্যা বলেই জানা যাচ্ছে। 

পাশ করেনি কেউ:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২৩ জন শিক্ষার্থীর কেউই পাস করেনি। এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে শতভাগ ফেলের তালিকায় থাকা একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রান্তিক জনপদের এ বিদ্যালয়টিকে নিয়ে বোর্ডজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। 
অপরদিকে একই উপজেলার গোত্রশাল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ জন পরীক্ষর্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র একজন। আর বাকী ১৩ পরীক্ষার্থীই ফেল করেছেন। একই উপজেলার এ দুই উচ্চবিদ্যালয়ের ফলাফল নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও সমালোচনা করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে।




















http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে কেনো ধ্বস নামলো?
১১ জুলাই ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস -আসিফ মাহমুদ
বিচার-সংস্কার ছাড়া এদেশে নির্বাচন হতে দেব না : ছাত্রশিবির
চান্দিনায় গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মাদকের বিস্তার হোমনায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা বোর্ডে কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫
কুমিল্লায় এসএসসিতে অকৃতকার্য ২ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
বাড়ছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি, ভাসছে কৃষকের ফসল
কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে কেনো ধ্বস নামলো?
শতভাগ পাস মাত্র ২২টি প্রতিষ্ঠানে
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২