কুমিল্লার মুরাদনগরে বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত হন উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সোমবার সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান।
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, নাটিকা ও নজরুল সংগীতের পাশাপাশি ছিল পান্তা-ইলিশের বিশেষ আয়োজন এবং হস্তশিল্প প্রদর্শনী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল পরিণত হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশে। দর্শনার্থীদের মধ্যে নববর্ষের রঙ ছড়িয়ে  দেয় বৈশাখী সুর, বর্ণিল পোশাক আর প্রাণের উচ্ছ্াস। এই আয়োজন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলেন, এমন আয়োজনে আমাদের সংস্কৃতি আরও গভীর ভাবে উপলব্ধি করা যায়। প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজনের অপেক্ষায় থাকি।
অনুষ্ঠানমালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু, মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারনী পূর্ণ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বরুন চন্দ্র দে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল আউয়াল, উপজেলা পরিবার পরিবার কর্মকর্তা সানজিদা হায়দার নুরু, উপজেলা ডেভেলাপমেন্ট ফেসিলিটেটর ছফি উল্লাহ, ইউআরসি ইনস্টাক্টর জিল্লুর রহমান ও উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা চিত্ত রঞ্জন পাল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘বৈশাখ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এই দিনটিকে ঘিরে বাঙালির প্রাণের উচ্ছ্বাস প্রতিফলিত হয়। তিনি সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। এতে অংশগ্রহণ করে স্থানীয় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ও শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট ইউনিট লিডার সারমিন ফাতেমা।