কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার
লালমাইয়ে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীর নামে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ
ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ)
সকাল ৮টারদিকে বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন
ভবনের লেবার রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা
বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর ও বাহার নামে দুজনের নাম উল্লেখ করে লালমাই থানায়
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার
জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত
করেলালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খিসা বলেন, ‘ওই প্রতিবন্ধী
তরুণীর বাবা একজন চা বিক্রেতা। বৃহস্পতিবার ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার
চেষ্টা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা পুলিশকে জানালে পুলিশ একজনকে
গ্রেপ্তার করে। জড়িত অপর একজনকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।'
ভুক্তভোগী
প্রতিবন্ধী তরুণীর এক আত্মীয় বলেন ‘আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক
প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর তাকে সড়কের
পাশের দুলালের দোকানে নিয়ে চিপস কিনে দেন। পরে তাকে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের
লেবার রুমে নিয়ে যান।বিষয়টি জানতে পেরে আমি সকাল ৮টায় ওই লেবার রুমে গিয়ে
দেখি জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া প্রতিবন্ধীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছেন।
অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে আমি বাহার মিয়াকে চড়-থাপ্পড় দিই। তখন জাহাঙ্গীর ও
বাহার মিয়া পালিয়ে যান।
লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ‘প্রতিবন্ধী
তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার ১ নম্বর
আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য কুমিল্লা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।