স্টাফ রিপোর্টার।। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেয়র তাহসীন বাহার সূচির ৯টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ তিন কোটি চার লাখ পঞ্চাশ হাজার সাতশত সত্তর টাকা অর্জন করে দখলে রাখার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তা মো: ফেরদৌস রহমান ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর জজ আদালতে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন।
দাখিল করা প্রতিবেদনের সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে সূচির ৫টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা শাখায় ৩টি ও ঝাউতলা শাখায় ২টি। এছাড়া কান্দিরপাড় জনতা ব্যাংকে একটি, যমুনা ব্যাংকে একটি ও পুলিশ লাইন্সের ইস্টার্ণ ব্যাংকে একটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ লাখ টাকা করে ২টি ইউসিবিএলের ব্যাংক হিসাবে বরাবর ১ কোটি ৬০ লাখ, জনতা ব্যাংকে ৮০ লাখ ৭১ হাজার ৩০১ টাকা রয়েছে। ইউসিবিএলের আরেকটি হিসাবে বরাবর ৪০ লাখ টাকা রয়েছে। একই ব্যাংকের আরেকটি হিসাবে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১শ ৬৮ টাকা, যমুনা ব্যাংকে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ টাকা রয়েছে। ইস্টার্ণ ব্যাংকে আছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮১৬ টাকা।
এছাড়া প্রাইম ব্যাংক ও ইউসিবিএলের ২টি হিসাবে যথাক্রমে ৬৪৭ টাকা ও ২১৯৬ টাকা রয়েছে। এ দু’টি হিসাব সচল নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নয়টি ব্যাংক হিসাবসহ ১৬টি ব্যাংক হিসেবে তাহসীন বাহার সূচি ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস রহমান।
আদালতে দাখিল করার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার উত্তরা আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের ৫১/এ প্লটে নির্মিত ৬ষ্ঠ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ২/সি নম্বর ১৪শ’ ৭৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য ৩২ লাখ টাকা।
তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেছেন এসব সম্পদ ও অর্থ অসাধু উপায়ে অর্জন করে দখলে রেখে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে তিনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া তাহসীন বাহার সূচির এসব অর্থ ও সম্পদ অবরুদ্ধ করার আদেশ প্রদান করেন।
জানা গেছে, তাহসীন বাহার সূচি প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে কিছু কর্মীকে প্রদান করেন। ব্যাংক হিসাব জব্দের ঘটনার উছিলায় সে কর্মীরা এখন আর টাকা নাও পেতে পারে এই আশঙ্কা করছেন।