দল
সাদামাটা ফুটবল খেললেও, জয়ের আনন্দ আছে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার।
কিন্তু তাকে ভাবাচ্ছে আক্রমণভাগের তারকা রাকিব হোসেনের চোট। ভুটানের
বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে এই ফরোয়ার্ডকে পাওয়া যাবে কিনা, তা নিশ্চিত
করে বলতে পারছেন না কাবরেরা।
থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে
বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভুটানকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। শেখ
মোরসালিনের জয়সূচক গোলের উৎস ছিল কর্নারের কাছাকাছি জায়গা থেকে রাকিবের
বাড়ানো পাস।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েই হঠাৎ টার্ফে শুয়ে পড়েন রাকিব।
চিকিৎসা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বিরতি পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান ২৫ বছর বয়সী এই
ফরোয়ার্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর তাকে মাঠে নামাননি কাবরেরা; বদলি নামান
শাহরিয়ার ইমনকে।
জয়ের আনন্দের মাঝেই বাংলাদেশ কোচ রাকিবকে নিয়ে অস্বস্তি, অনিশ্চয়তার কথা জানালেন ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায়।
“রাকিব
চোট পেয়েছে, আমি নিশ্চিত নই, যথাসময়ের মধ্যে সে সেরে উঠতে পারবে কিনা। খুব
সম্ভবত, আমাদের (দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচের দলে) পরিবর্তন আনতে হবে।
সেক্ষেত্রে আজকের ম্যাচের চেয়ে সেটা আমাদের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং
হবে।”
আগামী রোববার একই টার্ফে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ড ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি
শাণিয়ে নিতে এই ম্যাচগুলো খেলছে বাংলাদেশ। কাবরেরার কণ্ঠে তাই ঘুরেফিরে এলো
এ প্রসঙ্গ।
“অবশ্যই জয় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটাই মূল লক্ষ্য
নয়। ছেলেরা তিন মাস পর খেলায় ফিরেছে। পরের বছরে যে খেলাগুলো আছে, তার জন্য
প্রস্তুতি শুরু করেছে। অবশ্যই আমরা জিততে চেয়েছি, এটা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর
জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিতভাবেই এই ফলে খুশি আমি।”
তিন মাস ছুটি কাটিয়ে
ফিরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতা,
টার্ফে খেলা-এমন নানা প্রতিকূলতার স্রোত পেরিয়ে খেলার ধরনের চেয়ে বরং জয়
পাওয়াতেই খুশি কাবরেরা।
“আমরা জানতাম ম্যাচটা সহজ হবে না। শুরুতে গোল
পাওয়ায় আমরা ভাগ্যবান। এরপর আমরা শেষ পর্যন্ত ভুগেছি, শেষ ২০-২৫ মিনিটে
ছেলেরা ম্যাচে ফিরেছিল। আমি মনে করি, দল সবকিছু খুবই ভালোভাবে সামলেছে।”
“ছয়-সাত
সেশনের অনুশীলন করে আমরা খেলতে এসেছি এমন একটা দলের বিপক্ষেৃযেখানে
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা সমস্যা আছে (আমাদের জন্য), যাদের খেলোয়াড়রা
মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে আছে। তবে ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, যে ফল পেয়েছে, তাতে
আমি খুশি।”