সাম্প্রতিক
প্রবল বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায়
বন্যায় ২ হাজার ৩০৫.৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ২
হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির সম্পূর্ণ ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে
প্রায় ৩০ কোটি ৪১ লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ অংশের ৯টি
ওয়ার্ড ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর, চৌয়ারা, বারপাড়া, গলিয়ারা
উত্তর, গলিয়ারা দক্ষিণ, জোড়কানন পূর্ব ও জোড়কানন পশ্চিম ইউনিয়নে ১৯ হাজার
৮১৬ জন কৃষকের রোপা আমনের বীজতলা, রোপা আমন, শাকসবজি, রোপা আউশ, বোনা আমন ও
আখ ক্ষেত মিলিয়ে ৩ হাজার ২৪৭ হেক্টর জমিতে ফসলের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ২
হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এতে ৩০৮ হেক্টর জমির
আংশিক ও ২ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির সম্পূর্ণ ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার ফলে ৬
হাজার ৩৭১.৫৬ মে.টন ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ কোটি ৪১
লাখ ৫২ হাজার ৩০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা সদর
দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জোনায়েদ কবির খাঁন দৈনিক কুমিল্লার
কাগজকে জানান, পানি কমার সাথে সাথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রনোদনা
দেয়া হবে। পানি দ্রুত নামার জন্য ডাকাতিয়া নদী, গুঙ্গিয়াজুড়ি খাল, রোহিতা
খাল ও সোনাইছড়ি খালে জমে থাকা কচুরিপানা পরিস্কার করা হচ্ছে। খালের বিভিন্ন
স্থানে বেয়ালজাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে পানির স্রোতের গতিপথ বাধাগ্রস্থ
হচ্ছে। তিনি আরও জানান, তাঁরা ইতিমধ্যে বিজয়পুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন খাল ও
বারপাড়া ইউনিয়নের লোলবাড়িয়া এলাকার খাল থেকে বিপুল পরিমাণ কচুরিপানা
পরিস্কার করেছেন।